নয়াদিল্লি: পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে (Chief Election Commissioner Rajeev Kumar) । আগামী মঙ্গলবার তাঁর শেষ দিন। তার পদে পরবর্তী উত্তরসূরি কে হবেন, সেই বিষয় কেন্দ্র এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি।
চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচন (Assemble Election) রয়েছে বিহারে (Bihar)। ২০২৬ সালে বাংলা, তামিলনাড়ু (Tamilnadu) ও অসমে (Assam) ভোট রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে নয়া নির্বাচন কমিশনারের (Election Commission) হাতেই এই পরবর্তী ভোট পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে।
সূত্রের খবর, পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার কে হবেন, তা নিয়ে আগামী সোমবারই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ সূচি পরিবর্তন, পিছিয়ে গেল IPL এর দিনক্ষণ
২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসেন রাজীব কুমার। গত বছর লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে এক দশকে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। এছাড়া কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবস্থাপনাও তিনি করেছিলেন। গত সপ্তাহেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। সেই নির্বাচন দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করলেন। বলা যেতে পারে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আপের একরাশ অভিযোগ নিয়ে রাজীব কুমারের পদ থেকে অব্যাহতি পেলেন।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময়ই বলেছিলেন যে অবসর গ্রহণের পর ৪-৫ মাস হিমালয়ে কাটাবেন।
রাজীব কুমারের বক্তব্য ছিল, “আমি আগামী চার-পাঁচ মাসের জন্য নিজেকে ডিটক্সিফাই করব। হিমালয়ে যাব, মিডিয়ার থেকে দূরে থাকতে চাই। আমার একটু একাকীত্ব দরকার।
রাজীব কুমার বিহার-ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের একজন ১৯৮৪-ব্যাচের আইএএস অফিসার। রাজীব কুমারের পদের মেয়াদ একাধিক অভিযোগের মাধ্যমেই শেষ হল। দিল্লি নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে আপ ও কংগ্রেস।
দেখুন অন্য খবর-