কলকাতা: স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও নিষ্ঠুরতায় অভিযুক্ত স্বামীকে ৩৬ বছর পরে অভিযোগ মুক্ত করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।কুমোর পরিবারের সদস্য অভিযুক্ত। মাটির জিনিসপত্র তৈরি করাই তাদের পেশা। সেই পরিবারের বউ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তকেও মাটি তৈরি করতে হত। এই কাজ করাটাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। অভিমত বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তর।
১৯৮৫ সালের এপ্রিলে আবেদনকারী বিমল পালের স্ত্রী আত্মহত্যা করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী বিয়ের আগেই মহিলা অন্তঃসত্তা ছিলেন। কিন্তু শিশুটি জন্মের পর তিন মাসের মধ্যে মারা যায়। অভিযোগ, তারপর থেকেই বিমল স্ত্রীর প্রতি খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। মারধরও করতেন।
আরও পড়ুন: হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ নিউমার্কেটে
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সারা দিনে একবার মাত্র মেয়েকে খেতে দেওয়া হতো। নানা অছিলায় অপমান করা হতো। আবেদনকারী স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করতেন না। সেই কারণেই মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে ১৯৮৭ সালে সাজা ঘোষিত হয় বিমলের।
বিমল ও তার স্ত্রী’র মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। কিন্তু সেজন্য আবেদনকারীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে অভিযুক্ত করা যায় না। এমনকী সেই কারণে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া স্ত্রী’র মৃত্যুর খবর পুলিশকে বিমলের বাড়ির তরফেই দেওয়া হয়। মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে তার পরে। যে অভিযোগে রং মেশানো হয়ে থাকতে পারে। অভিমত আদালতের। এই প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছর কারাবাসের সাজার নির্দেশ খারিজ।
আরও খবর দেখুন