কলকাতা: রাজ্য বিজেপির ব্যাটন গেল শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) হাতে। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি (WB BJP President Shamik Bhattacharya) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনী হুঙ্কার দিলেন শমীক ভট্টাচার্যে। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assemblies Elections
2026) তৃণমূলের পরাজয় ঘটবে। বাংলার ক্ষমতায় তৃণমূল ফিরতে পারবে না। পৃথিবীর কোনও শক্তি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করতে পারবে না বলে ঘোষণা করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে, বিজেপি ছাড়া অন্য উপায় নেই বলেও জানালেন।
বাংলার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্য অন্যতম। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আগেই সেই শমীকের উপর ভরসা রাখল বিজেপি। সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির পুরনো কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন, দল বাড়াতে গেলে নতুনদের প্রয়োজন। শুধু তাই নয় রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন তিনি। শমীক বলেন, “বিজেপিই পারে তৃণমূলকে হারাতে। বিজেপি তৃণমূলকে হারাবে, তৃণমূল হারতে চলেছে, তৃণমূলের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী।”তিনি বলেন, ‘‘একদিন বাংলায় বিজেপির ভোট ১ শতাংশের নীচে ছিল। আর আজ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠিয়ে বাংলায় বিজেপির সরকার গঠনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। এবারে আর দু’শ পার নয়, তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত।”
আরও পড়ুন:একজোট হওয়ার বার্তা শমীকের, এবার কি মিটবে BJP-র অন্তর্দ্বন্দ্ব?
মমতার বিকল্প মুখ বিজেপিতে কে হবে তা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। তবে শমীকের কথায়, “মমতার মুখ কোথায়? নতুন বিতর্ক। আরে যে মুখকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করছেন, যে মুখকে বিসর্জন দিতে চাইছেন, তার বিকল্প মুখের প্রয়োজনই নেই। ২৬-এ বাংলায় তৃণমূলের বিসর্জন হচ্ছে। বাংলার মানুষ শিল্প চায়, বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, মেধা চায়, ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চান। তৃণমূল বাংলাকে বাজারে পরিণত করেছে, আলু-পটলের মতো মেধা, চাকরি বিক্রি হচ্ছে, শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা আইটি শ্রমিকে পরিণত হয়েছেন। বাংলার মানুষ বাঁচতে চান। বাম, কংগ্রেস, এসইউসি-সহ রাজ্যের বিরোধীদলের উদ্দেশেও বার্তা দিয়ে শমীক বলেন, “নো ভোট টু বিজেপির আড়ালে চক্রান্ত তৈরি করে ভোট কাটার রাস্তায় যাবেন না। ভোট কাটার রাস্তায় গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ফিরিয়ে আনবেন না। অনুরোধ করব, নিজেদের পতাকা কিছুদিনের জন্য দূরে সরিয়ে রেখে পথে নামুন, ২৬ এ তৃণমূলকে বিসর্জন দিন।”
অন্য খবর দেখুন