কলকাতা: ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্কুলের চাকরিপ্রার্থীরা (SLST Job Seekers)। তার মধ্য়েই নিয়োগপত্র মিলবে বলে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দ্রুত জট খুলবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। বৈঠকের পর ব্রাত্য বসি জানান, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তিনি সাফ জানান, নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ আমি এখনই বলতে চাইছি না। নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ এখনই বলতে পারবো না। ওরা চাইছিলেন একটা দিনক্ষণ দেওয়া হোক তাই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। আইনিই প্রক্রিয়া ঠিক রেখে নিয়োগ দেওয়া যায় সেটা দেখা হচ্ছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ন্যয্য। তবে জট যে শীঘ্রই কাটতে চলেছে সে বিষয়ে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী।
মধ্য়স্থতাকারী তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, এদিনের আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। সবাই মিলে সেই জটিলতা কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে ওই দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এর মধ্যে যদিও নতুন করে আর কোনও আইনি জটিলতা না সামনে আসে তাহলে কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে হয়। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, তাদের আন্দোলন যথারীতি চলবে।
বিকাশভবনে এসএলএসটি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ষখন মন্ত্রীর বৈঠক চলছে তখনই বাইরে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যপক ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে কয়েকজন আন্দোলনকারী জখম হন। আবার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা হাজরায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের লক্ষ্য ছিল কালীঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। পুলিশ তাঁদেরও বাধা দেয়। সেখানেও দু তরফের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কোর্টের
বিকাশ ভবনে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা বলেন, আলোচনায় আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশিকা এসেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগ চাই। আশা করি সরকার সে ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ করবে।
কুণাল অবশ্য দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। পড়ুয়ারা কী বলেছেন আমি জানি না। তিনি বলেন, আজকের আলোচনা খুবই ভালো হয়েছে। তবে প্রক্রিয়াটি এত জটিল যে দিনক্ষণ সময় বেধে সব কিছু বলা সম্ভব নয়। অনেক আইনি জটিলতা আছে। আজকের আলোচনায় সেই জটিলতা কাটানোর ব্যাপারে সব পক্ষই সহমত হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ।
আরও অন্য খবর দেখুন