কলকাতা: বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার দ্বিতীয় মামলাতেও অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের আরও নির্দেশ, বছর শেষের ছুটির মধ্যে তদন্তকারী অফিসার ওই বিধায়কদের কোনও নোটিস দিয়ে ডাকতেও পারবেন না। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে আগামী ১০ জানুয়ারি আগের মামলার সঙ্গেই এই মামলারও শুনানি হবে।
শুক্রবার মামলাকারীদের আইনজীবী পুলিশি তদন্ত স্থগিতের আবেদন জানান। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আগের মামলায় এই আদালতের নির্দেশ রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাই এই মামলা যেন আদালত না শোনে। আদালত বলেছে, তদন্ত চললেও এই সময়ের মধ্যে বিধায়কদের ডাকা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
এর আগের মামলায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি পদক্ষেপে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন ১০ জন বিজেপি বিধায়ক। তার বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিধানসভা চত্বরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ৩ এবং ৪ ডিসেম্বর তৃণমূল বিধায়করা ধরনা দেন। দ্বিতীয় দিনের ধরনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শামিল ছিলেন। ওই দুদিনই মূর্তির অদূরে বিধানসভার গেটের কাছে পাল্টা বিজেপিও বিক্ষোভ দেখায়। দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান তোলে। বাজানো হয় কাঁসর, ঘণ্টা, থালা, বাটি। তার মধ্যেই শাসকদলের বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ওঠেন।
শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন। স্পিকারের কাছে তৃণমূল পরিষদীয় দল অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। তাঁদের কয়েকজনকে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা তলবও করে। যদিও বিধায়করা হাজিরা দেননি। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ কী ভাবছে? কত ধর্ষণ মামলা, ফৌজদারি মামলার শুনানি হচ্ছে না এই ধরনের একটা ছেলেমানুষি মামলার জন্য। কত মানুষ পুলিশ এফআইআর নেয় না বলে আদালতে আসে। আর পুলিশ এই মামলায় এত সক্রিয় হয়ে উঠল? বিচারপতি বলেন, এমন কী ঘটল যে, লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে হল।
আরও খবর দেখুন