নামখানা: কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2024)। সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। এবারের সাগরমেলায় কুয়াশার সময়ও মেলায় যাত্রী পরিষেবা চালু রাখতে বিশেষ জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন (District Administration । মেলার সময় ঘন কুয়াশার মধ্যে দৃশ্যমানতা স্পষ্ট করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হবে বিশেষ আলো (Special Lighting Australia)। যে আলোতে ঘন কুয়াশার সময়ও দৃশ্যমানতা থাকে। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এই আলো ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ৬০০টি অ্যান্টি ফগ লাইট লাগানো থাকবে মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ও নদীতে।
শুক্রবার গঙ্গাসাগরের মেলা অফিসে বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি সহ মেলার পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: পূর্বস্থলিতে আলুচাষির আত্মহত্যা
গতবারের মেলার সময় থাকা কুয়াশার কথা মাথায় রেখে কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীর পলি কাটার উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ চ্যানেল। যে চ্যানেল দিয়ে ভাটার সময়ও ভেসেল পরিষেবা চালু রাখা যাবে বলে প্রশাসনের অনুমান। এছাড়া এবারেও বাবুঘাট থেকে মেলার মাঠ পর্যন্ত একাধিক বাফারজোন গড়ে তোলা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়লে এই বাফারজোনে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হবে পুণ্যার্থীদের। এই বাফারজোনগুলিতে পানীয় জল, শৌচালয়, যাত্রীশেডের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আনা হতে চলেছে কিউআর কোড (QR Code)। কিউআর কোডের মাধ্যমে এবার গঙ্গাসাগর মেলা সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, জোরকদমে চলছে মেলার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে পরিকাঠামোর কাজ শুরু হয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন,এবারের মেলায় ১৩ থেকে ১৫ হাজার পুলিশকর্মী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে। থাকছে মেগা কন্ট্রোলরুম। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন’ চলতি মাসের শেষে বা জানু্যারির শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে দেখতে আসবেন।
আরও অন্য খবর দেখুন