অন্ধ্রপ্রদেশ: আইনের (Law) প্রতিবন্ধকতা নেই। সমাজের কাছেও এখন বিষয়টি আগের অনেক বেশ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আইন মান্যতা দিলেও কি আমরা সব কিছু মেনে নিতে পারি? সেই প্রশ্নই উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনার মধ্য দিয়ে।
রূপান্তকামী বন্ধুকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২৪ বছরের এক যুবক। কিন্তু ছেলের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বাবা মা। অবসাদে ভেঙে পড়েছিলেন দুজনেই। ছেলেকে বার বার বোঝানো সত্ত্বেও নিজের জেদ থেকে সরে আসেনি সে।
বিয়ের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন যুবক। ছেলের জেদ মানতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) নান্দিয়ালের (Nandiwal) ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন-সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
মহকুমা পুলিশ অফিসার পি শ্রীনিবাস রেড্ডি (p Shrinibas Reddy) জানিয়েছেন, মৃত দম্পতির নাম সুব্বা রায়ডু (৪৫) এবং সরস্বতী রায়ডু (৩৮)। পুলিশ মধ্যবয়স্ক ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন বছর ধরে স্থানীয় এক রূপান্তরকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মৃত দম্পতির সন্তান সুনীল। পরে এক রূপান্তরকামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এই সম্পর্ক যে তারা মেনে নিতে পারবেন না, সেকথা ছেলেকে জানিয়ে ছিলেন বাবা মা। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত করেননি ছেলে। রূপান্তরকামীকেই বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে দেন ২৪ বছরের যুবক সুনীল। বাবা-মা ও ছেলের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। তুমুল অশান্তি চলতে থাকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Police) জানিয়েছে, এর আগে সুনীলও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আরও খবর, সুনীল রূপান্তরকামীদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং সেই অর্থ এবার তারা ফেরৎ চেয়েছিলেন।
টাকার দাবিতে রূপান্তরকামী গোষ্ঠী সুনীলকে বাড়িতে এসে গালিগালাজ ও অপমান করে। এর জন্য ভয়ে ভয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। দুজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর-