ঝাড়গ্রাম: রেশন (Ration) দুর্নীতি (Corruption) মামলায় বর্তমান বন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরে ফের নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে রাইস মিল (Rice Mill) আছে তার বৈধ কাগজ আছে কি না, গুণগত মান ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হল। বিধানসভার একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি (Standing Committee) সোমবার ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার শালবনির একটি নতুন রাইস মিলে হানা দেন। দীনেন রায়ের নেতৃত্বে ৮ জনের এই কমিটি সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন রাইস মিল ঘুরে দেখেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীনেনবাবু জানালেন, আগামী দুদিন এই স্ট্যান্ডিং কমিটি জঙ্গলমহলের 2 টি জেলা ঘুরে দেখবে। সোমবার তাঁরা ঝাড়গ্রাম জেলা ঘুরে দেখছেন। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁরা পুরুলিয়া যাবেন। উল্লেখ্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যের মোট ১৬টি রাইস মিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত রাইস মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিয়েছিল খাদ্য দফতর। তাদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করার পাশাপাশি কয়েকজনের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তা সত্ত্বেও কোনও এক অজানা কারণে মাঝপথেই থমকে গিয়েছিল তদন্ত। বাকিবুর রহমান এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরে এই প্রশ্নগুলি এখন সামনে আসছে।
আরও পড়ুন: ইডির তলব জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে
একাধিক রাইস মিল এবং আটাকলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে রেশন দুর্নীতি নিয়ে হইচই হলেও তা খাদ্য দফতরের নজরে এসেছিল বেশ কয়েক বছর আগেই। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশনের চাল ভাঙানোর নামে সরকারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যের মোট ১৬টি চালকল মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল খোদ খাদ্য দফতর। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাল ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খাদ্য দফতরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ওই ১৬টি রাইস মিলের সবমিলিয়ে মোট ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তরফ থেকে সরকারি গুদামে কোনও চাল আসেনি। তৎকালীন সময়ে বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ৭৫-৮০ কোটি টাকা। এই রাইস মিলগুলি পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং বাঁকুড়া জেলার।
আরও খবর দেখুন