দিল্লি: বিল্ডিং প্লানিংয়ের জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল সুপ্রিম কোর্টের। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা।
১। বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করার সময় বিল্ডার তথা আবেদনকারীর থেকে এই মর্মে মুচলেখা নিতে হবে যে, নির্মাণের কমপ্লিশন বা অকুপেশন সার্টিফিকেট কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়ার আগে নির্মাণের কোন অংশই কাউকে হস্তান্তর করা যাবেনা।
২। যতদিন নির্মাণ চলবে, ততদিন সেখানে অনুমোদিত বাড়ির নকশা সকলের স্বার্থে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করে রাখতে হবে। সরকারি কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত ব্যবধানে ওই নির্মাণ তদারক করে রেকর্ড রাখতে হবে।
৩। কমপ্লিশন বা অকুপেশন সার্টিফিকেট দাতাকে নিজে সেই নির্মাণ পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় শংসাপত্র অযথা দেরি না করে দিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ভাষণ, বিচারপতি এস কে যাদবকে সতর্কবার্তা সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের
৪। কমপ্লিশন তথা অকুপেশন সার্টিফিকেট পেশ করার পরেই সেই নির্মাণে বিদ্যুৎ, জল, নিকাশী ইত্যাদির সংযোগ সম্পর্কিত বোর্ড বা অন্যান্য সংস্থা দেবে।
৫। কমপ্লিশন বা অকুপেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেও যদি কোন বেআইনি কাজের হদিস মেলে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষণাৎ সংশোধনী পদক্ষেপ করতে হবে। একই সঙ্গে ওই শংসাপত্র দাতার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬। আবাসিক বা বাণিজ্যিক যেমন বাড়িই হোক, নির্মাণ বেআইনি হলে রাজ্য বা কেন্দ্র কেউই সেখানে কোনরকম বাণিজ্যিক লাইসেন্স দিতে পারবে না।
৭। কোন এলাকার উন্নয়ন সেখানকার জোনাল প্ল্যান বা আঞ্চলিক পরিকল্পনা অনুযায়ী হতে হবে। সেই পরিকল্পনার কোন সংশোধন অবশ্যই বৃহত্তর জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে। পরিবেশের উপর প্রভাব বিবেচনা করে নিতে হবে।
৮। বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে পদক্ষেপ করা নিয়ে কোন দপ্তর যদি অন্য কোন দপ্তরের সাহায্য চায়, সেক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ সেই সহযোগিতা করতে হবে। এই ব্যাপারে কোনরকম দেরি বা অবহেলা গুরুতর বিষয়ে হিসেবে দেখতে হবে। রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনকে সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৯। কমপ্লিশন বা অকুপেশন সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখার পরেই ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেই নির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন করতে পারবে।
১০। এই নির্দেশগুলোর কোন একটি না মানা হলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে এবং সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
বেআইনি একটি নির্মাণ ভাঙার মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। সেই রায়ে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের।
দেখুন অন্য খবর