নয়াদিল্লি: কামদুনি মামলায় (Kamduni Rape and Murder case) অভিযুক্তদের জামিন বহাল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court )। কামদুনিকাণ্ডের নির্যাতিতার ভাই সুপ্রিম কোর্টে আলাদা এসএলপি করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই মামলার শুনানি হয়। সব পক্ষকে নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছে দেয় বিচারপতি বিআর গাভাই ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ। মামলাকারীর কাছেও হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে নিম্ন আদালত সাইফুল আলী ও আনসার আলীকে ফাঁসি দিয়েছিল। হাইকোর্ট তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও ভোলানাথ নস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া ছিল। হাইকোর্ট এই তিনজনকে মুক্তি দেয়। সেই রায় রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট এর আগে সাজা থেকে মুক্তি প্রাপ্তদের একগুচ্ছ শর্ত দেয়। যেখানে তারা আছে, সেখানে কোনরকম অশান্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয় পুলিশকে।
উল্লেখ্য, মামলায় মোট অভিযুক্ত ছিল ৯ জন। বিচার শেষ হওয়ার আগে একজনের মৃত্যু হয়। নগর দায়রা আদালতে দুই অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পায়। ২০১৬ সালে দু’জনকে ফাঁসি ও চার জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। হাইকোর্ট চার জনকে বেকসুর খালাস করেছে। যাদের মধ্যে একজন ফাঁসির আসামীও ছিল। বাকি দুই ফাঁসির আসামিকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আরও পড়ুন: নতুন ফোন খারাপ হওয়ায় ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া শর্তগুলি যথাক্রমে: ১. মুক্তিপ্রাপ্তরা রাজারহাট থানার বাইরে যেতে পারবে না। কোথাও যেতে হলে থানাকে আগাম জানাতে হবে এবং ফিরে এসেও জানাতে হবে। কোথায় যাওয়া হচ্ছে, সেই তথ্য দিতে হবে। ২. মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার থানায় হাজিরা দিতে হবে। ৩. পাসপোর্ট থাকলে থানায় জমা দিতে হবে। ৪. প্রত্যেকের বাসস্থানের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার থানায় জমা দিতে হবে। ফোন নম্বর বদল হলে অবিলম্বে জানাতে হবে।
রাজারহাট থানার প্রতি আদালতের নির্দেশ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিযুক্তরা যেন কোনোভাবেই যোগাযোগ না করে। ওই ভয়ংকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার মানুষ মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই সেখানে যেন কোনো রকম অস্থিরতা দেখা না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একই রকম অপরাধ এরা যাতে না করে, সে বিষয় কড়া নির্দেশ আদালতের।
আরও অন্য খবর দেখুন