নয়াদিল্লি: খারাপ ফোনের (Defective Phone) পরিষেবায় ঘাটতি। এমন ক্ষেত্রে নির্মাতা ও খুচরো বিক্রেতা অভিযুক্ত হবেন। রায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের (Consumer Protection Court)। সদ্য কেনা ফোনে গন্ডগোল। ফোন বন্ধ করার পর খুলতে গেলেই প্রবল সমস্যা। সেই সূত্রে ২০২১ সালে এর্নাকুলাম ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ক্রেতা। ২০১৯ সালের ক্রেতা সুরক্ষা আইনের ৩৫ নম্বর ধারা অনুসরণে। ফোনটির উৎপাদক এবং খুচরো বিক্রেতা পক্ষকে নোটিশ দেয় আদালত। প্রথম পক্ষ নোটিশে সাড়া দিলেও দ্বিতীয়পক্ষ দেয়নি।
সমস্যার সমাধানে সাড়া না দেওয়াটা পরিষেবায় ঘাটতি, অবহেলা এবং ব্যর্থতা। কারণ, অভিযোগে সাড়া মিলবে, এই আশা ক্রেতার থাকে। পরিস্থিতির ফেরে অভিযোগকারীকে উদ্বেগ, কঠিন পরিস্থিতি, এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। যা অভিযুক্ত পক্ষের নিষ্ঠুরতা, অবহেলা এবং খারাপ মানের পরিষেবাই প্রমাণ করে। অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমল তিন শহরে
আইন অনুযায়ী ক্রেতার সংজ্ঞা এখানে প্রমাণিত। অন্যায্য ব্যবসায়িক নীতি প্রমাণিত। তাই সমস্যার সমাধান অথবা ফোনটি বদলে দেওয়ার দাবি ন্যায্য। কারণ ফোনটি কেনার রশিদ ও বিক্রেতাকে সমস্যা জানানোর তথ্য ক্রেতার কাছে রয়েছে। ফোনটি সারাই করে দেওয়ার তথ্যও রয়েছে। মন্তব্য আদালতের।
ক্রেতার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ন্যায্য অধিকার রয়েছে। তাই ফোন ঠিক করে দেওয়া বাবদ নেওয়া ১৬০০ টাকা ফেরত দিতে হবে। মানসিক উদ্বেগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ২০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মামলার খরচ হিসেবে দিতে হবে হাজার টাকা। এক মাসের মধ্যে এই অর্থ না দিলে প্রাপ্য টাকার উপর ৯ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। নির্দেশ আদালতের।
আরও খবর দেখুন