অমৃতসর: চারটে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পিএইচডি করা ৩৯ বছর বয়সি, যৌবনের উপান্তে এসে রাস্তায় রাস্তায় সবজি ফেরি করছেন। গত শীত অধিবেশনে সংসদে রঙিন ধোঁয়া ছড়ানোর প্রতিবাদীদেরও ক্ষোভ-হতাশার কারণ ছিল দেশের আকাশছোঁয়া বেকারি। এবার সে রকমই একটি জীবন কাহিনি ফুটে উঠেছে পঞ্জাবের পাটিয়ালায়।
নাম তাঁর ডঃ সন্দীপ সিং। চারটে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও পিএইচডি করেছেন সন্দীপ। কিন্তু, সরকারি পাকা চাকরি জোটেনি। শেষে পাটিয়ালার পঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। কিন্তু, তাতেও শিক্ষার সম্মান জোটেনি। অনিয়মিত বেতন এবং দফায় দফায় বেতন কমিয়ে দেওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে সে কাজও ছাড়তে হয়। অবশেষে সাইকেল ভ্যানে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন সন্দীপ।
আরও পড়ুন: কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভিড় ভক্তদের
পঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ১১ বছর চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপনা করেছেন ডঃ সন্দীপ সিং। আইনে পিএইচডি করেছেন। এছাড়া পঞ্জাবি ভাষা-সাহিত্য, সাংবাদিকতা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেছেন, আইনে এমএ তো বটেই।
সন্দীপ বলেন, কোনও মাসেই নিয়মিত বেতন পেতাম না। এছাড়া মাঝেমধ্যেই বেতন কমিয়ে দেওয়া হতো। ওই নামমাত্র টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। তাই সংসার ও পরিবার বাঁচানোর তাগিদে সবজি ফেরি করার পথ বেছে নিই।
সন্দীপ একটি সাইকেল ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন। যে ভ্যানের গায়ে লিখে রেখেছেন, ‘পিএইচডি সবজিওয়ালা।’ প্রতিদিন সকালে উঠেই ভ্যান নিয়ে দরজায় দরজায় ঘোরেন। তাঁর কথায়, অধ্যাপনার কাজের চেয়ে সবজি বিক্রি করে এখন বেশি রোজগার করছি। সারাদিন সবজি বেচে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেও ফের পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করেন সন্দীপ।
শিক্ষকতার পথ ছেড়ে দিলেও ভিতরের তাগিদ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি পিএইচডি সবজিওয়ালা। আজও স্বপ্ন দেখেন একদিন না একদিন নিজের একটা টিউশন সেন্টার খুলবেন। যেখানে নিজের জ্ঞান উজাড় করে দেবেন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে।
অন্য খবর দেখুন