পুনে: সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকর (Narendra Dabholkar) খুনে দুই অভিযুক্ত, শচীন আন্দুরে এবং শরদ কালাসকরকে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল পুনের এক বিশেষ আদালত (Pune Special Court)। একই সঙ্গে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হল অন্য তিন অভিযুক্ত বীরেন্দ্র তাওয়াড়ে, আইনজীবী সঞ্জীব পুলানেকর এবং বিক্রম ভাবেকে। তদন্তে এই তাওয়াড়েকেই খুনের মূল চক্রী বলে অভিযুক্ত করেছিল সিবিআই।
অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির (Andhashraddha Nirmoolan Samiti) প্রতিষ্ঠাতা দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগাস্ট গুলি করে খুন করেছিল বাইকে চেপে আসা দুই আততায়ী। বেশ কিছু বছর ধরে ওই সমিতি চালাচ্ছিলেন সমাজকর্মী। এছাড়া একাধিক বই প্রকাশ করেছিলেন, ওয়ার্কশপ করেছিলেন, তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করা।
আরও পড়ুন: মহিলা কমিশন প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাল তৃণমূল
২০১৩ সালে তাঁর খুনের পর ব্যাপক হইচই হয়, দাভোলকরের পুত্র ও কন্যার আদালতে আবেদন করাতে পুনে পুলিশের (Pune Police) হাত থেকে তদন্তের ভার চলে যায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। এরপর একে একে গ্রেফতার হয় বীরেন্দ্র সিং তাওয়াড়ে, শচীন আন্দুরে, শরদ কালাসকর, বিক্রম ভাবে এবং আইনজীবী সঞ্জীব পুলানেকর।
এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ধারার ১২০বি বা ৩৪ নম্বর ধারায় খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ১৬ ধারায় জঙ্গি কার্যকলাপ এবং অস্ত্র আইনে মামলা হয়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারাতেও মামলা হয়েছিল। পুনের দায়রা আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, দাভোলকরকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল একইসঙ্গে মানুষের মনে ভয় জাগাতে যাতে কেউ অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির হয়ে কাজ না করে।
দেখুন অন্য খবর: