আরামবাগ: পূর্ত দফতরের (PWD) অফিসের সামনেই দখল ওই দফতরের জমি (Land)। রাস্তার পাশের নয়ানজুলির উপর কংক্রিটের পিলার তুলে কার্যত জোর করে মার্কেটিং কমপ্লেক্স (Marketing Complex) তৈরি করছে তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগ পুরসভা (Arambagh Municipality)। সরকারি জায়গা দখল করে কীভাবে হচ্ছে নির্মাণ? উঠছে প্রশ্ন।
আরামবাগ বর্ধমান রাস্তার ধারের পিডব্লুডির জায়গায় হকারদের পুনর্বাসনের জন্য দোকানঘর তৈরি হবে। দাবি পুরসভার চেয়ারম্যানের। এদিকে জেলার পিডব্লিউডির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, বিষয়টি না কি নজরেই ছিল না তাদের। নজরে আসার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করা হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে পূর্ত দফতর? সেই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধী শিবির থেকে শুরু করে আরামবাগবাসী। বিজেপির দাবি, বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে আরামবাগ পুরসভা। মার্কেট তৈরির নামে মোট ৬০ টি রুম তৈরি করা হবে। যার প্রত্যেকটি রুম পিছু ১৫ লক্ষ টাকা করে নেবেন তৃণমুল নেতারা। সবমিলিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। আর এই নিয়েই আরামবাগজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার আনিসুর ও তাঁর ভাই
উল্লেখ্য, আরামবাগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ লিংক রোড এলাকায় আরামবাগ বর্ধমান রাস্তার পাশে পিডব্লিউডি অফিসের সামনেই পিডব্লিউডির জায়গা। যার প্লট নাম্বার আরএস ১১৬ , ১১৭ ও ১১৮। এটি আরামবাগের পূর্ত দফতরের অফিসের সামনেই। এই দাগের নয়ানজুলিতেই আরামবাগ পুরসভা বর্তমানে বিতর্কিত দোকান ঘরগুলি নির্মাণ করছে। এমনিতেই আরামবাগ শহরে ঢোকার রাস্তায় যানজটের জন্য প্রশাসনিকভাবে সকালে ও বিকালে নো এন্ট্রি করা হয় । ফলত আগামী দিনে যানজট কাটাতে যদি রাস্তা সম্প্রসারণ হয় তাহলে আবারও পূর্ত দফতরকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে তা একপ্রকার স্পষ্ট।
আরও খবর দেখুন
