নয়া দিল্লি: জরুরি অবস্থার (Emergency Situation in India) সময় ভারতের সংবিধানে ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’র মতো শব্দ জোড়া হয়েছিল। সংবিধানের প্রস্তাবনা নিয়ে এমনই দাবি তুলছে আরএসএস (RSS)। সেই বিতর্ক এক দফা বাড়িয়ে দিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শনিবারের এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তনযোগ্য নয়। এই বীজের উপর ভিত্তি করেই সংবিধান তৈরি করা হয়েছে।
ধনখড় আরও বলেন, বিশ্বের আর কোনও দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বদল করা হয়নি। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান (সংশোধনী) আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। আর তখনই ‘সমাজবাদী’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ শব্দগুলি যোগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : রাজ্যের প্রথম আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রস্তাবনার এই ৩ শব্দের পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে। আরএসএসের দাবি, জরুরি অবস্থার সময় এই শব্দগুলি যোগ করা হয়েছিল। সংবিধান প্রণেতা ড. বি.আর. আম্বেদকরের মূল সংবিধানে এগুলি ছিল না। তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়। মানুষের মৌলিক অধিকার বলে কিছু ছিল না, হাজার-হাজার মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই সংবিধানের প্রস্তাবনায় এই শব্দগুলি যোগ করা হয়েছিল… এটার মাধ্যমে সংবিধান প্রণেতাদের চিন্তাধারার সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’
#WATCH | Vice President, Jagdeep Dhankhar says, “Preamble of any constitution is its soul. The Preamble of the Indian Constitution is unique… Except for Bharat, the Preambles of any other nation’s Constitution haven’t changed. Preamble is not changeable. Preamble is the basis… pic.twitter.com/3oxaJumgLv
— ANI (@ANI) June 28, 2025
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘সমাজবাদী’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এই দুটি শব্দ আদৌ সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা উচিত কিনা, তা নিয়ে জাতীয় স্তরে আলোচনা হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, শব্দগুলি একটি বিশেষ রাজনৈতিকদলের ‘স্বার্থসিদ্ধি’র উদ্দেশ্যে যোগ করা হয়েছিল। এই মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল হোসাবলের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে। আরএসএসের দাবিকে ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতারা।
দেখুন আরও খবর: