ওয়েব ডেস্ক : প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি (Primary Teachers Recruitment Case) বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের রায় খারিজ করেছে আদালত। আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আদালতের এই রায়ের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। এই রায় বহাল থাকবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের রায়ের পর কৌস্তভ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “সম্মানীয় বিচারপতিদের প্রতি পূর্ণ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে বলছি, সেন্টিমেন্টের দোহাই দিয়ে দুর্নীতি আইন মান্যতা পেতে পারে না। হলফ করে বলতে পারি এই রায় বহাল থাকবে না। থাকতে পারে না। এই রায় বহাল থাকলে এক অদ্ভুত ও ভয়ংকর রকমের নজির সৃষ্টি হবে।”
এদিন রায় ঘোষণার সময় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ করে কারোর চাকরি যদি বাতিল হয়, তাহলে ওই শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সঙ্গে বলা হয়েছে, যখন ওই শিক্ষকরা চাকরি করছিলেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ধরণের অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু কয়েকজনের জন্য গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায় না। এর পরেই প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের রায় বাতিল করা হয়। আর এ নিয়েই বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি (Kaustav Bagchi) লেখেন, “সেন্টিমেন্টের দোহাই দিয়ে দুর্নীতি আইন মান্যতা পেতে পারে না”। তাই এই রায় বহাল থাকতে পারে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আরও খবর : প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার পরে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। তবে তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই সময় বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে। তাতে যোগ্য ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি বহাল থাকবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। সেই সময় তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য একক বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।
কিন্তু রাজ্যকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু কথা বলা হয়েছিল। তবে তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ও পর্ষদ। তবে পরে মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চেই পাঠানো হয়। সেই মামলায় বুধবার ৩২ হাজারে চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশপাশি এদিন শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) শিক্ষকদের তরফে ক্যাভিয়েটও দাখিল করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর :







