ওয়েব ডেস্ক : এসএসসি (SSC) নিয়ে থামছেই না বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ ছিল, কোনও অযোগ্য চাকরি প্রার্থী যাতে পরীক্ষা না দিতে পারে। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে পরীক্ষার আগে ও পরে ২৬৯ জনকে শনাক্ত করেছে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে কমিশন।
২০২৫ সালে সম্পন্ন হয়েছে এসএসসি (SSC) নিয়োগ পরীক্ষা। তার পরেই চলছে নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন এসএসসি দেখছে, কোনও প্রার্থী অযোগ্য কি না। পরীক্ষার আগেও যাচাই পরীক্ষা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে অনেকে পরীক্ষা বসতে পারেননি। এবার পরীক্ষার পরেও কোনও প্রার্থী অযোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, কেউ যদি তালিকায় অযোগ্য প্রার্থী রয়েছে বলে দেখেন, তাহলে কমিশনকে তা জানাতে পারেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও খবর : কলকাতা সফরে মেসির পাতে থাকবে ইলিশ-চিংড়ি! দেখুন তাঁর সফরনামা
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সময় শীর্ষ আদালতে অযোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশেনর তরফে। কিন্তু বাকিরা যে যোগ্য ছিল, সেই বিষয়ে জানানো হয়নি কমিশনের তরফে। যার ফলে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা না করতে পারার কারণে গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয় আদালত। যার ফলে চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। তাতে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল রাজ্যে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শিক্ষকরা।
এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানায়। সঙ্গে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, যাতে কোনও অযোগ্য প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে না পারে। পরীক্ষার পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ হয়। তার মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সম্প্রতি আদালত জানিয়েছে, নতুন তালিকায় যাতে কোনও অযোগ্য না থাকে। এর পরেই অযোগ্যদের পুরো তালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি (SSC)-র তরফে। তার পরেই কমিশন জানিয়েছে, পরীক্ষার আগে ও পরে ২৬৯ জনকে অযোগ্য হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।

দেখুন অন্য খবর :






