কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) কসবায় (Kasba) ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। রবিনসন স্ট্রিটের (Robinson Street) স্মৃতি জাগিয়ে মৃত বাবার দেহ আগলে বসে ছিল মেয়ে, আর খাটের তলায় বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে ছিলেন মা। সোমবার কসবা থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে উদ্ধার করে বাবার পচাগলা দেহ। বস্তা থেকে উদ্ধার করে মা অর্চনা সেনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা (Kolkata)।
পুলিশ জানিয়েছে, কসবার বোসপুকুর এলাকার বাড়িটিতে থাকতেন সুমিত সেন, তাঁর স্ত্রী অর্চনা এবং ২৭ বছরের মেয়ে সম্প্রীতি। কয়েকদিন ধরে পরিবারটিকে দেখতে না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং এক আত্মীয়কে খবর দেন। আত্মীয় ফোন করে খোঁজ নিতে চাইলে মেয়ে বারবার জানান বাবা-মা ভালো আছেন, কিন্তু তাঁদের ফোনে আনা কিংবা কথা বলানোর অনুরোধ এড়িয়ে যান। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি ও বাসিন্দাদের আপত্তিতে বহুতলে বুথ তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল কমিশন
সোমবার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের নিয়ে বাড়িতে গেলে দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বহু ডাকাডাকির পরও কেউ না খুললে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ভিতরে ঢোকার পর ছড়িয়ে থাকা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা পচাগলা দেহ দেখতে পায়—যা সুমিত সেনের। প্রশ্ন করা হলে মেয়ে সম্প্রীতি কোনও উত্তর দিতে পারেননি।
তল্লাশিতে খাটের নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় অর্চনা সেনকে। দীর্ঘদিন না খেয়ে-না খাইয়ে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, পরিবারটির তিন জনই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সুমিতের মৃত্যু অসুস্থতার কারণেই হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরিষ্কার হবে আসল কারণ। মেয়েরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
দেখুন আরও খবর:







