পাঁশকুড়া: আরজিকর ঘটনার আঁচ এখনও দগদগে। এরইমধ্যে ফের পাঁশকুড়ায় মর্মান্তিক ঘটনা। সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ঠিকাদারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন পাঁশকুড়ায় যান জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। কথা ছিল জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। তবে এদিন জেলা পুলিশ সুপার বা অ্যাসিস্ট্যান্স পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্চনা মজুমদার। শেষে সংশ্লিষ্ট থানার এক আধিকারিকের কাছ থেকে ফোন নিয়ে সরাসরি ফোন করেন জেলা পুলিশ সুপারকে। এবং না আসার কারণ জানতে চান। সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য বলেন, এখন আসেননি, পরে দিল্লীতে শুনানির জন্য আসতে হবে। এরপরেই তিনি বেরিয়ে যান কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে। কোলাঘাটে তিনি বলেন আইন আইনের পথে চলবে,একজন পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসার সময় পাননি, বা গুরুত্ব দেননি, কমিশনকে গুরুত্ব দেননি। এর বিচার করতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা যা দেখলাম এটা আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
আরও পড়ুন: আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিবাদ আন্দোলনে রণক্ষেত্র কোটশিলা স্টেশন
প্রসঙ্গত, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে হাসপাতালেরই ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ফেসিলিটি ম্যানেজার জাহির আব্বাস খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ, রাতে ডিউটির সময় ওষুধ দেওয়ার নাম করে হাসপাতালের ফাঁকা ঘরে ডেকে একাধিকবার নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের যৌন নির্যাতন করত জাহির। নির্যাতিতাদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে।
দেখুন খবর: