নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) মৃত্যুর পরেও বিতর্কের ছায়া যেন কিছুতেই কাটছে না। তাঁর শেষকৃত্য এবং সম্ভাব্য স্মৃতিসৌধ (Memorial) নির্মাণ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও চলছে। এই বিষয়ে কংগ্রেস (Congress) সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের উপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য তিনটি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নগর উন্নয়ন মন্ত্রক এবং সিপিডব্লুডি-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে একতা স্থল (Ekta Sthal), বিজয় ঘাট (Vijay Ghat) অথবা রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলের মধ্যে একটি জায়গায় মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, একতা স্থলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জৈল সিং-এর সমাধি রয়েছে। এদিকে রাজঘাট সংলগ্ন বিজয় ঘাটে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সমাধি রয়েছে। আবার রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল হল দেশের প্রয়াত নেতাদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ একটি বিশেষ এলাকা। জানা গিয়েছে, রাজঘাট সংলগ্ন বিজয় ঘাটকে মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এই এলাকাতেই জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মনমোহন সিংয়ের পরিবারের মতামত নেওয়া হবে। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের ক্ষমতাও সম্পূর্ণভাবে মনমোহন সিংয়ের পরিবারের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজেদের অফিসারকেই ফ্রেফতার করল CBI! অভিযোগ গুরুতর
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর কেন্দ্র সরকারের তরফে প্রথমে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কোনও ঘোষণা করা হয়নি। এই নিয়ে কংগ্রেস রাজনৈতিক বিতর্ক উস্কে দেয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে সমাধিস্থলের দাবি তোলেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ করেন, “মনমোহন সিংয়ের মতো নেতার প্রতি যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।” এই মন্তব্যকে ঘিরে আরও তীব্র হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। এখন, স্মৃতিসৌধের স্থান নির্ধারণ এবং এর নির্মাণের পরবর্তী প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয়, সেদিকে তাকিয়ে দেশবাসী।
দেখুন আরও খবর: