কলকাতা: লোকসভা ভোট পর্যন্ত বিজেপি তৃণমূলের আক্রমণ করে যাবে বলে অভিযোগ করল শাসকদল। সোমবার তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থ ভৌমিক সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এটা আমরা ভালো করে জানি। বিজেপি আমাদের শক্তি এবং সংগঠনকে দুর্বল করার চক্রান্ত করছে। তাই ইডি, সিবিআইকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ বলেন, তাতে আমরা ভয় পাই না। তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা ভয় পাই না। আমাদের আপত্তির কারণ হল, আমাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজাও।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি নিয়ে পার্থ বলেন, আইনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি আদালতের কাছে সুবিচার পাবেন। জ্যোতিপ্রিয় উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। জেলায় পাঁচটি লোকসভা আসন রয়েছে। সেখানে আমাদের সংগঠন অত্যন্ত মজবুত। সেই সংগঠনকে দুর্বল করতেই বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হতে চান আইএসএফের নওশাদ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, বাম আমলের এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড আমরা বাতিল করেছি। তাতে ভুয়ো ভোট হত বাম জমানায়।
পার্থ সাংবাদিক বৈঠকে সেচমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতি খুঁজতে ব্যস্ত ইডি, সিবিআই। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়া বা তাদের দিকে পা বাড়ানো নেতাদের সম্পত্তি গত কয়েক বছরে যে পরিমাণ বেড়েছে, তার জন্য কেন কোনও তদন্ত হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খান, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং শিশির অধিকারীর নাম উল্লেখ করেন।
আরও অন্য খবর দেখুন