ইংল্যান্ড—৩ সেনেগাল–০
( জর্ডন হেন্ডারসন, হ্যারি কেন, বুকোয়া সাকা)
৫৭ মিনিটেই খেলা শেষ। ইংল্যান্ড তখনই এগিয়ে গেছে তিন গোলে। এর পর আর সেনেগালের পক্ষে ব্রিটিশ সিংহদের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা ছিল না। তাই হাসতে হাসতে আফ্রিকান সিংহদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড। বড় দলগুলির মধ্যে তারা এখনও অপরাজিত। তবে শেষ আটে তাদের লড়াই ফ্রান্সের সঙ্গে। একটু আগেই দুই বড় শক্তির দেখা হয়ে যাবে। একটা বড় টিমকে বিদায় নিতে হবে আনেক আগেই। তবে এটাই বিশ্ব কাপ। সেই ম্যাচ ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে বারোটায়।
তবে সে যখন হবে দেখা যাবে। আপাতত ইংল্যান্ড যা খেলছে তাতে কিন্তু তাদের শ্রেষ্ঠত্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ইরানকে ছয় গোল দেওয়ার পর আমেরিকার কাছে আটকে যাওয়া। তার পর আবার ওয়েলশকে তিন গোলে হারানো। এবং সেনেগালকে উড়িয়ে দেওয়া তিন গোলে। তার মানে চার ম্যাচে এক ডজন গোল হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। এর পর তাদের ফরোয়ার্ড লাইনকে ভয় পাবে তো প্রতিপক্ষ। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ইংল্যান্ডের এই জয়ের পাশাপাশি তাদের পক্ষে খব বড় খবর হল তাদের অধিনায়ক হ্যারি কেনের গোল পাওয়া। প্রথম তিনটি ম্যাচে গোল পাননি কেন। এতে তাঁর এবং ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে একটা অতৃপ্তি কাজ করছিল। রবিবার দুটোরই সমাধান। তিনটি গোলের মধ্যে হ্যারি কেনের গোলটাই ছিল সবচেয়ে সুন্দর। বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল দ্বিতীয় পোস্টের কোণা দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। এই গোলটা হল ৪৫+ ৩ মিনিটে। তার আগেই জর্ডন হেন্ডারসন গোল করে এগিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। তবে এই গোলটার জন্য সেনেগাল গোলকিপার এডোয়ার্ড মেন্ডিকে দায়ী করতে হবে। বল তো ওর হাতের পাশ দিয়ে চলে গেল। বক্সের মধ্যে ঢুকে আলতো পুশ করেছিলেন মিডফিল্ডার হেন্ডারসন। এই গোলটা হল ৩৮ মিনিটে। আর ৫৭ মিনিটে বুকোয়া সাকার গোলটার সময় প্রশংসা করতে হবে। খুব ঠান্ডা মাথায় গোলটা করেছেন সাকা। বলটা বাড়িয়েছিলেন ফিল ফডেন। কেনের গোলের সময় বলটাও এসেছিল ফডেনের পা থেকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের সামনে এখন ফ্রান্স। ইংল্যান্ডের ডিফেন্স বেশ ভাল। দুই সেন্টার ব্যাক জন স্টোনস এবং হ্যারি ম্যাগুয়েরের পক্ষে কিলিয়ান এমবাপেদের আটকানো কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাঝ মাঠকে আরও ভাল খেলতে হবে। আর সামনের দিকে ব্যবহার করতে হবে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে। হাতে অনেক ফরোয়ার্ড গ্যারেথ সাউথগেটের। কিন্তু কাকে কখন ব্যবহার করব তার উপর নির্ভর করে কোচের মুন্সিয়ানা। ইংল্যান্ড এখনও তেমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে পড়েনি। তাদের আসল পরীক্ষা এবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।