কাতার: এই তো সেদিন শুরু হল, এরমধ্যেই শেষ হয়ে গেলে ফিফা (FIFA) আয়োজিত কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup)। ৩২টি দেশের লড়াইয়ের পর ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা (Argentina) এবং ফ্রান্স (France)। কাপ জিতল লিওনেল মেসির (Lionel Messi) আর্জেন্টিনাই। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও পরাজিতদের দলে থেকে গেলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। এই দু’জনই গোটা বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন। আরও অনেকেই নিজের নিজের পোজিশনে চমকে দিয়েছেন। তাঁদের নিয়েই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ তৈরি করল কলকাতা টিভি ডিজিটাল (Kolkata TV Digital)। দেখুন দেখি, আপনার পছন্দ মতো হল কি না।
গোলকিপার: ডমিনিক লিভাকোভিচ (ক্রোয়েশিয়া)
এমি মার্তিনেজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, দু’বার পেনাল্টি শুটআউট মেসিদের পরিত্রাতা হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি সেভ করেছেন লিভা। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাঁর জন্যই জিতেছিল ক্রোয়েশিয়া।
রাইট ব্যাক: দিয়েগো দালো (পর্তুগাল)
কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকাতে পারেনি পর্তুগাল। তা সত্ত্বেও দালোর মতো আর কেউ রাইট ব্যাক পোজিশনে খেলতে পারেননি। যেমন ডিফেন্স করেছেন তেমনই প্রতিপক্ষের অর্ধে গিয়ে আক্রমণ করেছেন।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup Final: এটাই সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল!
সেন্টার ব্যাক: রোমা সাইস (মরক্কো)
এই বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ প্যাকেজ মরক্কোর সেমিফাইনাল পর্যন্ত স্বপ্নের দৌড়ের প্রধান কারণ তাদের রক্ষণ। সেই রক্ষণে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন সাইস।
সেন্টার ব্যাক: জস্কো ভারদিওল (ক্রোয়েশিয়া)
কাতার বিশ্বকাপের সেরা ডিফেন্ডার ভারদিওল। একবারই মেসির কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন, তাতে সমস্যা নেই। মেসির কাছে পৃথিবীর যে কোনও ডিফেন্ডার নাস্তানাবুদ হতে পারে।
লেফট ব্যাক: থিও হার্নান্ডেজ (ফ্রান্স)
অনবদ্য আক্রমণ দক্ষতা। তাঁর দৌড়ের জন্যই এমবাপে অনেকটা জায়গা পান।
ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার: সোফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো)
মাঝমাঠের স্তম্ভ। মরক্কোকে আক্রমণে সাহায্য করেছেন আবার রক্ষণেও অত্যন্ত মজবুত। গোটা বিশ্বকাপ অনবদ্য খেলেছেন আমরাবাত।
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড)
বয়স মাত্র ১৮ কিন্তু যা পরিণত মস্তিষ্কের চাপ রেখেছেন তাতে চমকে গিয়েছে ফুটবল বিশ্ব। ইতিমধ্যেই তাঁকে দলে নিতে টাকার থলি সাজাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুর, ম্যান ইউয়ের মতো ক্লাব।
আরও পড়ুন: Karim Benzema: দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেন করিম বেঞ্জেমা
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার: এনজো ফার্নান্ডেজ (আর্জেন্টিনা)
এই বিশ্বকাপের সেরা আবিষ্কার বলা চলে তাঁকে। পেয়েছেন সেরা এমার্জিং প্লেয়ারের খেতাব। আর্জেন্টিনার জমাট মাঝমাঠের জন্য অনেকটা কৃতিত্ব এই তরুণ তুর্কির।
অ্যাটাকিং মিডিফিল্ডার: অ্যান্টইন গ্রিজম্যান (ফ্রান্স)
কাতার বিশ্বকাপে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলেন ফ্রান্সের সাত নম্বর জার্সিধারী। খেলতেন ফরোয়ার্ডে কিন্তু এবার একটু পিছন থেকে তাঁকে ব্যবহার করেন দিদিয়ের দেশঁ। তাতেই কামাল হয়েছে। এমবাপে, জিরুদের সারাক্ষণ বল সাপ্লাই দিয়ে গেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিরুর গোলের আসল কৃতিত্ব গ্রিজম্যানের ক্রসের।
ফরোয়ার্ড: কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স)
আট গোল করে কাতারের কাপযুদ্ধে সোনার বুট পেয়েছেন। ইংল্যান্ড ছাড়া প্রত্যেক প্রতিপক্ষের রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়েছেন। ভাগ্য সহায় থাকলে কাপটাও পেতেন।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে নিয়ে নতুন করে আর কী বলা যায়? সাতটি গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। বল পায়ে দৌড়ে, কাটিয়ে অনায়াসে পেরিয়ে গিয়েছেন হাঁটুর বয়সি ডিফেন্ডারদের। একার কাঁধে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন।