লিসবন: ফুটবলের জগতে জর্জ মেন্ডেস (Jorge Mendes) অতি পরিচিত নাম। তাঁকে ‘সুপার এজেন্ট’ (Super-Agent) হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। পৃথিবীর সেরা সেরা ফুটবল তারকাকে এ ক্লাব থেকে সে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের ভালো দর পাওয়ার বিষয়টা তদারকি করেন এই পর্তুগিজ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) এজেন্টও ছিলেন এই মেন্ডেসই। ছিলেন, এখন আর নেই। এক পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী পিয়ার্স মর্গ্যানকে (Piers Morgan) দেওয়া রোনাল্ডোর ওই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার।
রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে (Manchester United) প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সি আর সেভেন (CR7)। গোলও করেছিলেন অনেকগুলো। কিন্তু ম্যান ইউ আদৌ ভাল খেলেনি, এমনকী মরশুম শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UCL) যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। রোনাল্ডো আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়া কিছু বোঝেন না। তাই ওই টুর্নামেন্টে খেলছে এমন কোনও ক্লাবে যাওয়ার প্রচুর চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে নতুন ক্লাব খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সুপার এজেন্ট মেন্ডেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: Sarfaraz Khan: চোটপ্রাপ্ত পন্থের জায়গায় টেস্টে খেলুক সরফরাজ, দাবিতে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
এরপরেই ম্যান ইউ ছাড়ার ব্যাপারটা নিজের হাতে নিয়ে নেন রোনাল্ডো। পিয়ার্স মর্গ্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসে এমন এমন বিবৃতি দেন যাতে ম্যান ইউ (Man Utd) নিজেই তাঁর চুক্তি বাতিল করে দেয়। এই ঘটনা বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে। রোনাল্ডো ভেবেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) ভালো পারফর্ম করলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা ক্লাবগুলো তাঁকে নিতে ছুটে আসবে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশাজনক পারফর্ম্যান্স করেন রোনাল্ডো। একটি মাত্র গোল তাও পেনাল্টি থেকে করেছিলেন তিনি। পর্তুগালের কোচ তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন।
এরপরে ইউরোপের কোনও ক্লাব যে আর তাঁকে নেবে না তা বুঝে গিয়েছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। এদিকে ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মেন্ডেস। কিন্তু রোনাল্ডো তাতে পাত্তা দেননি। তারপরেই দুজনের বিচ্ছেদ। এবার এগিয়ে আসেন রোনাল্ডোর ব্যক্তিগত ম্যানেজার রিকি রেগুফে। সৌদি আরবের (Saudi Arabia) ক্লাব আল নাসেরের (Al Nassr) সঙ্গে চুক্তিটা তিনিই করিয়ে দেন। এর জন্য তিনি কত পকেটস্থ করেছেন জানেন? ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ২৬০ কোটি টাকা।