সন্তোষ ট্রফির প্রাথমিক পর্বে পাঁচটি ম্যাচের সব কটাতেই জিতেছিল বাংলা। কিন্তু মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলা জিততে পারল না। দিল্লির কাছে আটকে গেল ২-২ গোলে। শনিবার ভুবনেশ্বরে সকাল নটায় ছিল বাংলার ম্যাচ। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে পড়েও বাংলা বিরতির আগে সমতা ফেরায় এবং বিরতির পর এগিয়েও যায়। কিন্তু শৈষ রক্ষা হয়নি। আবার গোল খেয়ে ম্যাচ শেষ করে ২-২ গোলে। বাংলার হয়ে দুটি গোলই করেছেন অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্ঠা।
মূল পর্বে বাংলা যে গ্রুপে আছে সেই গ্রুপটা বেশ শক্তিশালী। গত বারের রানার্স বাংলার সঙ্গে আছে মেঘালয় , মণিপুর, সার্ভিসেস, রেলওয়েজ এবং দিল্লি। গ্রুপের প্রথম দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বেশ ভাল রকম প্রস্তুতি নিয়েই ভুবনেশ্বর গেছেন। কিন্তু সেখানে ম্যাচের আগের দিন তাঁর দলকে প্র্যাক্টিস করতে দেওয়া হয় অ্যাস্ট্রো টার্ফের মাঠে। খেলা কিন্তু হয় ঘাসের মাঠে। তবে এই সব প্রতিকূলতা এড়িয়ে বাংলা খেলতে নামে। কিন্তু দশ মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন দিল্লির ভাণ্ডারি। আচমকা পিছিয়ে পড়ে খানিকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন নরহরি শ্রেষ্ঠা, রবি হাঁসদা, তারক হেমব্রমরা। তবে একটু গুছিয়ে নিয়ে প্রতিআক্রমণ করতে থাকেন নরহরিরা। ৩০ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে বাংলা। গোল করেন নরহরি। বিরতির পর ৬১ মিনিটে আবার গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন নরহরি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই গোলটা রাখতে পারেনি বাংলা। ৭১ মিনিটে গৌরব রাওয়াত গোল শোধ করে দেন। বাংলার পরের ম্যাচ সোমবার সার্ভিসেসের সঙ্গে। সেই ম্যাচও সকাল নটায়। এবার সন্তোষ ট্রফির দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে সৌদি আরবের রিয়াধের সেই কিং ফয়াদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যেখানে কদিন আগে লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডোরা খেলেছেন। ম্যাচগুলি হবে ১-৪ মার্চের মধ্যে। বাংলার প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনালে উঠে সৌদি আরব যাওয়া।