কলকাতা: আইএসএসের (ISL) পশাপাশি কলকাতা হকি লিগের (Kolkata Hockey League) মুকুটও কি মোহনবাগানের মাথায়! রবিবার ডার্বির শেষ ম্যাচে খেললেই, হকিতে সেরার সেরা খেতাব জিতে নিত সবুজ-মেরুন শিবির। তবে সেই ম্যাচের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচের আগেই কলকাতা হকি লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে মোহনবাগান ক্লাব (Mohunbagan Club)। তাও নিয়ম অনুযায়ী, রবিরার তাদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামতে হত চির প্রিতদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিরুদ্ধে। শনিবার রাতেই লাল-হলুদ শিবির মোহনবাগানের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ডার্বি থেকে নাম তুলে নেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফ্রেবুয়ারি ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল হকির ডার্বি ম্যাচে। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি চেয়ার ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটে ওই ম্যাচে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহামেডান মাঠ। মারপিটে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকরা। মোহনবাগান গ্যালারি থেকে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে দেওয়া হয় স্লোগান। পাল্টা সুর চড়ান লাল-হলুদ সমর্থকরাও। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন সমর্থক, সাংবাদিক। লাল-হলুদের দাবি, সেই ঘটনার পিছনে হকি বেঙ্গলের সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়) ইন্ধন রয়েছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হকি বেঙ্গলকে চিঠি লেখে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : World’s Greatest Places Of 2023 | ভারতের এই দুই জায়গা বিশ্বের বছর সেরা পর্যটনকেন্দ্রের তালিকায়
চিঠিতে লাল-হলুদ শিবির লিখেছে, ১৯ ফেব্রুয়ারির হকির ডার্বি ম্যাচ ঠিকভাবে খেলাই হয়নি। ভেস্তে যাওয়া ম্যাচের পরিবর্বতে নতুন ম্যাচের আয়োজন করতে বলা হয়েছিল। তবে সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এছাড়াও এর আগে রেজিস্ট্রেশন এবং বেশ কয়েকজন আম্পায়ারকে দায়িত্বে রাখা নিয়ে হকি বেঙ্গলকে চিঠি লিখেছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তারও জবাব আসেনি বলে অভিযোগ। ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, সব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হকি বেঙ্গলের কোনও ম্যাচে অংশ নেবেন না তাঁরা।
আবার মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল সচিব হকি বেঙ্গলের সভাপতি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের ফুটবল সচিবের ইন্ধনেই সেই দিন লাল-হলুদ কর্তাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কেন এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।