দার্জিলিং: সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত (Snowfall)।রবিবার (Sunday) ভোরবেলা থেকেই সান্দাকফু, ফালুট, মানেভঞ্জন সহ দার্জিলিং (Derjeeling) সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে এলাকাগুলি। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধুই সাদা আর সাদা বরফে মোড়া! এই নিয়ে ২০২৩ সালে তৃতীয়বার তুষারপাত হল সান্দাকফুতে (Sandakhu)। শেষ বার যতটা বরফ পড়েছিল, তার থেকে এবারের তুষারপাতের পরিমাণ অনেকটা বেশি বলেই জানা যাচ্ছে। প্রায় পাঁচ ইঞ্চি পুরু বরফের চাদরে ঢেকেছে সান্দাকফু।এদিকে সাতসকালে ঝড়ের তাণ্ডব এবং সঙ্গে দোসর বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পতন ঘটল এক লাফে।
কালবৈশাখীর পর গত দু’দিন সকালে আকাশের মুখ ভার থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আজ, রবিবার কাকভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। আবহাওয়া দফতরের আগাম পূর্বাভাস মতোই রবিবার সকাল থেকেই ঘন কালো মেঘে ঢাকা জলপাইগুড়ির আকাশ। ডুয়ার্সের মাল, ধূপগুড়ি, নাগরাকাটা, মেটেলি এলাকায় বৃষ্টি শুরু। সেই সঙ্গে ফের অনুভূত হচ্ছে হালকা শীতের আমেজ। শীত বিদায় নেওয়ার পর ধীরে ধীরে বাড়ছিল তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে সেখানকার জনজীবন এক প্রকার ব্যাহত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নিচু এলাকার চাষের জমিতে জল জমে ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। যদিও চা বলয়ে বৃষ্টির দরকার রয়েছে, তবে শিলাবৃষ্টি হলে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফুতে প্রতি বছরই কম বেশি তুষারপাত হয়ে থাকে। আর সেই তুষারপাত দেখার জন্য বহু পর্যটক ভিড় করেন সান্দাকফুতে।
এমনিতেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) এখন পর্যটকদের জোয়ার। বিশেষত মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই কলকাতার গরম এড়াতে অনেকেই অস্থায়ী ডেরা বেঁধেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে। দার্জিলিং চিরকালই পর্যটকদের (Tourist) কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। শৈলশহরে সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে পর্যটন মরশুম বলতে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে। বহুদিন বাদে পর্যটনের এমন জোয়ার আসাতে ব্যবসায় ভালো লাভ হবে বলেই আশা।