কলকাতা: এ বছর দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। তাঁদের একজন শাকিব আল হাসানকে (Shakib Al Hasan) ছাড়পত্র দেয়নি বাংলাদেশ (Bangladesh)। অন্যজন অর্থাৎ লিটন দাস (Litton Das) অবশ্য খেলবেন। কিন্তু তিনি এখনও ভারতেই আসেননি। সবেমাত্র আয়ারল্যান্ডের (Ireland) বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলে উঠেছেন। এদিকে রবিবার গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) বিরুদ্ধে খেলতে আমেদাবাদ (Ahmedabad) চলে গিয়েছে কেকেআর দল।
জানা গেল, রবিবারই আসছেন লিটন। সরাসরি কলকাতাতেই আসছেন। তার অর্থ, গুজরাতের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরবর্তী ম্যাচ অর্থাৎ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (SRH) বিরুদ্ধে তাঁকে খেলাতে পারবে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। আর তা হলে ১৪ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সেই আইপিএল অভিষেক হবে বাঙালি নাইটের। নিলামে বেস প্রাইস ৫০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছিল কেকেআর।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে কলকাতায় আসছেন লিটন। খেলেছেন তিনটে ওয়ান ডে, তিনটি টি২০ এবং একটি টেস্ট। তবে গোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন না বাংলাদেশি উইকেটকিপার-ব্যাটার। আবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে খেলতে চলে যাবেন ২ মে।
আরও পড়ুন: Sri lanka vs New Zealand | দুরন্ত টিম সিফার্ট ! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয় নিউজিল্যান্ডের
শাকিবের বদলি হিসেবে ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয়কে (Jason Roy) নিয়েছে কলকাতা। তাঁর জন্য খরচ হয়েছে ২.৮ কোটি টাকা। গুজরাতের বিরুদ্ধে তিনি দলে ঢুকবেন। তবে কার জায়গায় দলে ঢুকবেন সেটাই বড় প্রশ্ন। আফগান তরুণ প্রতিভা রহমানুল্লাহ গুরবাজ আরসিবি ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) এবং সুনীল নারিনকে (Sunil Narine) বসানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই। এক হতে পারে টিম সাউদিকে বসিয়ে রয়কে খেলানো হল। কিন্তু নাইট স্কোয়াডে ভাল মানের দেশি পেস বোলার নেই যাঁর হাতে উমেশ যাদবের সঙ্গে নতুন বল তুলে দেওয়া যায়। আর নয়তো শার্দূল ঠাকুরকে দ্বিতীয় পেসারের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, প্রথম এগারোয় সর্বোচ্চ চার বিদেশি খেলানো যায়।
এদিকে আগের দিন স্পিনে কামাল হওয়ার পর আশা করা যাচ্ছে ইডেনে স্পিন সহায়ক পিচই দেখা যাবে টুর্নামেন্ট জুড়ে। যে দলের কাছে তিনজন ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ (Mystery Spinner) থাকে, তারা স্পিনিং ট্র্যাক পছন্দ করবে তাতে আর আশ্চর্য কী। আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলার নারিন। পাওয়ার প্লে, মাঝের ওভারে এমনকী ডেথ ওভারেও তাঁর উপরে ভরসা করা যায়। বরুণ চক্রবর্তী বেশিরভাগ মাঝের দিকে বল করেন, তবে আরসিবি ম্যাচের মতো পাওয়ার প্লে-তেও বল করতে পারেন। অভিষেকেই কামাল করেছেন ১৯ বছরের সুযশ। তাঁর অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন তবে কার্যকর। শর্ট বল ফেলা বন্ধ করলে অনেক দূর যাবেন। এই তিনজন মিলে ইডেনের স্পিন পিচে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের যথেষ্ট দুঃখ দেবেন।