কলকাতা: সোমবার ঘরের মাঠে আইএসএল অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। জামশেদপুর এফসি-র বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করলেন ক্লেটন সিলভারা। প্রথম থেকেই মুহূর্মুহূ আক্রমণ চলছিল দু তরফ থেকেই। প্রথমার্ধের শেষে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তা গোলে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ফুটবলাররা। অন্যদিকে, এদিন দারুণভাবে নজর কাড়েন জামশেদপুর এফসি গোলরক্ষক। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নিশু কুমার আজ প্রথম থেকেই নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে ক্রেসপো, ক্লেটন, খাবরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়াতে থাকে জামশেদপুর এফসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ০-০। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হন এলসিনহো। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল ছেলেরা। যদিও গোল আসেনি। পরের ম্যাচে ৩ পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাবো।’ বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও পাস অ্যাকুরেসিতে এদিন কিছুটা হলেও হতাশ করেছে ইস্টবেঙ্গল।
উল্লেখ্য, ইস্টবেঙ্গল এবং জামশেদপুর, দুই দলই গত মরশুমে ছিল পয়েন্ট তালিকার নীচের দিকে। ইস্টবেঙ্গল নবম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল। জামশেদপুর শেষ করেছিল দশ নম্বরে। এ বারের আইএসএল দুই দলের সামনেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
রবিবার কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছিলেন, ‘আমরা এক মাস সময় পেয়েছি অনুশীলনের জন্য। বিভিন্ন সিস্টেম নিয়ে চর্চা হয়েছে। যখন ডুরান্ড খেলেছিলাম, তখন আমাদের জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামতে হত এবং ট্রেনিংয়েও সেই লক্ষ্যই থাকত। কিন্তু গত এক মাসে আমরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করেছি। যদিও মাঝে কিছুটা সময় মহেশ (সিং), লালচুংনুঙ্গা, (প্রভসুখন) গিল, জর্ডন (এলসে)-দের পাইনি। তাতে অসুবিধা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতির পর আমি খুশি। একাধিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আমরা বিভিন্ন কৌশলে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, দলের ছেলেরা সবাই এগুলো ভালই বুঝতে পেরেছে এবং তার প্রতিফলন মাঠে পড়বে।‘