কলকাতা: এক বিখ্যাত বাংলা গানের লাইন মনে পড়ছে, “আমি যদি জার্মান হতাম, বোতল বোতল বিয়ার খেতাম।” জার্মানি (Germany) মানেই বিয়ার, বিয়ার (Beer) মানেই জার্মানি। এই পানীয় নিয়ে দেশটায় আলাদা করে এক উৎসবও আছে, ‘অক্টোবরফেস্ট’ (Oktoberfest)। এহেন দেশে চলছে ইউরো কাপ (UEFA EURO 2024)। কাজেই ম্যাচে বিয়ারের প্রভাব পড়বে না তা কি হয়?
না, খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই বিয়ার খেয়ে খেলতে নামছেন না, কোচ বা সাপোর্ট স্টাফরাও নন। কিন্তু এ বাদে সবাই বিয়ার সুধায় নিমজ্জিত। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ম্যাচে মাঠে উড়ে এসেছে বিয়ারের কাপ। কর্নার ফ্ল্যাগ কিংবা গোলপোস্টের পাশে এসে জমা হয়েছে সেসব।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে উঠবেন ১৯ বছরের তরুণ!
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফুটবল মাঠে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। ইংল্যান্ডে ১৯৮৫ সাল থেকে এই নিয়ম জারি হয়েছে। স্কটল্যান্ডেও এ নিয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্পেনে বিয়ার খাওয়া যায় তবে তাতে অ্যালকোহল নেই। ফ্রান্সের ফুটবল লিগে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ। সার্বিয়ায় স্টেডিয়ামের আশেপাশের পানশালায় ম্যাচ শুরুর হওয়ার দু’ ঘণ্টা আগে মদ বিক্রি বন্ধ। কিন্তু জার্মানির ব্যাপার আলাদা।
বুন্দেশলিগার (Bundesliga) খেলায় বিয়ার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইউরোতেও তার প্রভাব পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাচে হয়তো পানীয়তে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে কিন্তু অন্যান্য ম্যাচে দর্শককুল বিয়ার না খেয়ে খেলা দেখবে তা হতেই পারে না। জার্মানির বেশিরভাগ ফুটবল ক্লাবের প্রচুর আয় হয় বিয়ার বিক্রি থেকে। সেরা দুই ডিভিশনের প্রায় সব ক্লাবের স্পনসর মদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা। যেমন শালকে-র মাঠ ভেলটিন্স এরিনার সঙ্গে স্থানীয় এক ব্রিউয়ারির পাঁচ কিমি দীর্ঘ পাইপলাইন সংযোগ রয়েছে।
সবে লিগ পর্যায় শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে নক আউট, খেলার উত্তেজনার সঙ্গে বিয়ারের আমেজ কী কী করে সেটাই দেখার।
দেখুন অন্য খবর: