
ওয়েব ডেস্ক: সিডনি টেস্টের (Sydney Test) পিচকে ‘সন্তোষজনক’ রেটিং দিল আইসিসি (ICC)। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) অন্য সব পিচ অবশ্য ‘খুব ভালো’ রেটিং পেয়েছে। পঞ্চম টেস্টের পিচ নিয়ে বেশ বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সিডনিতে বরাবর ব্যাটিং সহায়ক পিচ হয়, পরের দিকে স্পিন সহায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু এবারের পিচ দেখে মনেই হচ্ছিল না যে এটা এসসিজি (SCG)।
৯ মিলিমিটারের মতো সবুজ ঘাস, গতিময় এবং বাউন্সময় উইকেট। পুরো চারদিন খেলা হয়নি। প্রথম তিন ইনিংসে ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোনও দলই ২০০ করতে পারেনি। তাও সিডনির পিচ ‘সন্তোষজনক’।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য খুশি। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, শুরুতে পেস এবং বাউন্স এবং পরে স্পিন করবে, সিডনিতে এমন ইউনিক পিচ বানানোর চেষ্টা চলছিল। এ বছর সঠিক পথে পদক্ষেপ করা হল যার ফলে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির রোমাঞ্চকর ইতি ঘটল। ২০২৫-২৬ অ্যাশেজের জন্যও ভালো আশা রইল।
আরও পড়ুন: তলানিতে ফর্ম, শেষ চার বছরে কোহলির গড় মাত্র ৩০!
অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড যা-ই বলুক, সে দেশের প্রাক্তনরাও বলেছিলেন, সিডনিতে এত সবুজ পিচ তাঁরা কোনও দিন দেখেননি। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তনীদের বেশ একহাত নিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)।
সানি বলেন “ভারতের কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি বা ঘ্যানঘ্যান করেননি। অথচ ভারতে যখন পিচে ঘাস থাকে না, বল একটু ঘুরবে মনে হয়, পৃথিবীর অন্যান্য অংশের বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার পিচের সমালোচনা করেন। ভারতের কোনও প্রাক্তন কিন্তু এমন করেন না কারণ আমরা বিদেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব বুঝি।”
৩৪টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক এও বলেন, “আমি অতীতে সিডনিতে এত ঘাস দেখিনি। সম্ভবত ২০২৪ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অন্যান্য মাঠের তুলনায় এখানকার ঘাসের আস্তরণ উঁচুর দিয়ে। ব্যাট করা কঠিন, সফরকারী ব্যাটাররা ব্যাটে বলে করতে পারছে না। সিডনির পিচে গরু নিশ্চিন্তে ঘাস খেতে পারবে।”
দেখুন অন্য খবর: