কাতার: সোমবার শেষ ষোলোর (Round Of 16) ম্যাচে মাঠে নামছে এশিয়ার (Asia) দুই দেশ জাপান (Japan) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। কোরিয়ার প্রতিপক্ষ ব্রাজিল (Brazil), সে ম্যাচে তাদের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই। এই বিশ্বকাপ অঘটনের হলেও হিউং মিন সনরা (Heung Min Son) ব্রাজিলকে হারাবেন এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) বিরুদ্ধে খেলবে ‘এশিয়ার সূর্য’ জাপান। তাদের নিয়ে আশাবাদী হওয়া যেতেই পারে।
সনের মতো বড় তারকা জাপানের নেই। ইউরোপের (Europe) নামী ক্লাবে খেলেন একমাত্র তাকুমি মিনামিনো (Takumi Minamino)। কিন্তু তাঁকে প্রথম এগারোয় সুযোগই দিচ্ছেন না কোচ হাজিমে মোরিয়াসু। জাপানের আসল শক্তি আসলে দলগত সংহতিতে। গোটা দলটা পুরো ৯০ মিনিট সমানে দৌড়ে বেড়ায়। প্রতিপক্ষকে পাগলা ষাঁড়ের মতো তাড়া করে। গতি আর প্রেসিং এই দিয়েই গ্রুপ পর্বে জার্মানি (Germany) এবং স্পেনকে (Spain) ঘায়েল করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: নকআউট পর্বের ম্যাচের আগে দঃ কোরিয়া এবং ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ
গত বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। জাপানের তুলনায় খাতায় কলমে তারা শক্তিশালী দল। লুকা মড্রিচ, ইভান পেরিসিচ, মাতেও কোভাচিচ, ডেয়ান লভরেন, আন্দ্রে ক্রামারিচের মতো বড় প্লেয়াররা আছেন। কিন্তু ইউরোপের দেশটার সমস্যা হল, নামী প্লেয়াররা সবাই প্রায় কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে পড়েছেন। অবসর নেওয়ার সময় হয়ে এল। এরকম একটা ‘বয়স্ক’ দলের বিরুদ্ধে জাপানের গতি এবং প্রেসিং ফলপ্রসূ হতেই পারে।
তবে নক আউট ম্যাচে কোনও সমীকরণ চলে না। সেই দিন যে ভাল খেলবে শেষ হাসি হাসবে সেই। বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দেশের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। দাভর সুকেরের একমাত্র গোলে জিতেছিল ক্রোটরা। এরপর ২০০৬-এর বিশ্বকাপে গোলশূন্য ড্র হয়। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে তফাত কখনওই খুব বেশি ছিল না। এবারও নেই। দেখা যাক কী হয়…