প্যারিস: পিএসজি কর্তৃপক্ষের অনুমতির ছাড়াই সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। পরিবারের সঙ্গে উইকেন্ড কাটাতে প্যারিস ছেড়েছিলেন। বিনা অনুমতিতে প্যারিস ছাড়ায় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়। দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করার পাশাপাশি ওই সময় মেসিকে বেতন দেওয়া হবে না বলে জানায় প্যারিস সঁ জরমঁ। এর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে প্যারিস। সমর্থকরা মেসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে সব বিতর্কে জল ঢেলে দিলেন লিও। অনুমতি ছাড়া প্যারিস ছাড়ার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন মেসি।
ইতিম্যধ্যে সৌদি থেকে প্যারিসে ফিরে গিয়েছেন এলএমটেন। প্যারিসে ফিরেই তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘‘যা কিছু ঘটেছে, আমি তার জন্য কিছু বলতে চাই। সর্বপ্রথমে আমি আমার ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি ভেবেছিলাম বাকি ম্যাচের মতোই এবার ছুটি পাব। তাই সৌদি আরবে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। এর আগে একবার প্ল্যান করেও ভেস্তে গিয়েছিল, সফর বাতিল করতে হয়েছিল। এবার আর তা করা যেত না। তাই যা করেছি, তার জন্য আবারও ক্ষমাপ্রার্থী আমি।’’ এরই সঙ্গে মেসি বলেন, ‘‘ আমি ফিরে এসেছি। আপাতত এখন প্যারিসেই রয়েছি। ক্লাবে সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি্। এটুকুই বলার ছিল, ভালোবাসা থাকল আপনাদের জন্য।’’
আরও পড়ুন: Coronavirus | WHO | শেষ করোনা? বিশ্ববাসীকে স্বস্তির বার্তা ‘হু’-র
অন্যদিকে, একাধিক ফরাসি সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, পিএসজির হয়ে আর খেলতে চাইছেন না মেসি। তাঁর সঙ্গে নতুন করে চুক্তিও করেনি প্যারিসের ওই ক্লাব। উল্লেখ্যে, সম্ভবত আবারও সৌদি আরবেই যাবেন মেসি। সেখানকার ক্লাব আল হিলাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জানা যাচ্ছে, বছরে ৪০ কোটি ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মূল্যে ৩২৭০ কোটির বেশি টাকার চুক্তিতে সৌদি আরবের ওই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার। ইংল্যান্ডের এক পত্রিকায় লেখা হয়েছে, মেসি এবং আল হিলাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কথাও হয়ে গিয়েছে। সময় হলেই লিও যাবেন আল হিলালে।
প্রসঙ্গত, এখন আল নাসের হয়ে খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সৌদি আরবের ডার্বি হয় আল নাসের এবং হাল হিলালের মধ্যে। সেক্ষেত্রে রোনাল্ডো এবং মেসি যদি একে অপরের প্রতীপক্ষ হন, সে ক্ষেত্রে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রই পুরোপুরি পাল্টে যেতে চলেছে।