কৃশানু ঘোষ: এই মোহনবাগান আলাদা।
লা লিগায় লিওনেল মেসি (Lionel Messi) যা করেছিলেন, সেটাই আজ করতে গিয়েছিলেন জেসন কামিংস (Jason Cummings)। পেনাল্টি আদায় করেছিলেন আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku)। সেটা কে মারবে তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলল। শেষ পর্যন্ত বল বসালেন কামিংস। কিন্তু গোলে শট না মেরে তিনি বল রাখতে গেলেন দিমিত্রি পেত্রাতসের জন্য (Dimitri Petratos)। ঠিক যেমন সুয়ারেজের জন্য রেখেছিলেন মেসি। সুয়ারেজ গোল করেছিলেন, কিন্তু পেত্রাতসের আগেই বলের কাছে পৌঁছে যান মাজিয়ার (Maziya SRC) ডিফেন্ডাররা। ঘটনার আকস্মিকতায় মাথায় হাত সমর্থকদের।
আবার বলছি, এই মোহনবাগান আলাদা।
এরকম উদ্ভট বিপর্যয়ের মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। কাঁটা ঘায়ের নুনের ছিটে যাকে বলে। জোড়া ধাক্কায় আত্মবিশ্বাসের ঘটি কিছুটা টাল খাবেই। সে যত বড় দলই হোক না কেন। প্রথমার্ধে যে মাজিয়া স্রেফ রক্ষণ সামলাচ্ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে তারাই আক্রমণ করতে শুরু করল। এতকিছু সত্ত্বেও টাল খায়নি হুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferando) দল। সে কারণেই এই মোহনবাগান আলাদা।
আরও পড়ুন: ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজে পারুলের রুপো, প্রীতির ব্রোঞ্জ
GET IN! Three points courtesy a clutch injury-time winner from Cummings! ??♥️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/gkZALO4ZP2
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 2, 2023
দ্বিতীয়ার্ধে আশিস রাইকে তুলে মনবীর সিংকে নামান বাগান কোচ। এরপর পেত্রাতসকে তুলে সাহাল আবদুল সামাদ এবং আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) তুলে শুভাশিসকে নামানো হয়। এর ফলে বাঁদিক আরও বেশি সচল হয়। বাঁদিক থেকেই এল জয়সূচক গোল। শুভাশিসের স্ন্যাচ করা বল বুমোসের পা হয়ে সামাদের কাছে আসে। সামাদের থ্রু ধরে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে ২-১ করেন কামিংস। তাঁর প্রথম গোলটা আরও ভালো মানের ছিল। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হয়ে গেল মোহনবাগানের। পরের রাউন্ডের দিকে তরতর করে এগিয়ে চলেছে পালতোলা নৌকো।
পেনাল্টির ওই ব্লান্ডার করে আচমকা ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারটি। শাপমুক্তি ঘটালেন দিনের দিনই। ম্যাচ শেষে যুবভারতীর ২৬ হাজার জনতার ‘কামিংস কামিংস’ চিৎকারে বোঝা গেল, আরও এক নায়ক পেয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। বলছি না, এই মোহনবাগান আলাদা। প্রতি ম্যাচেই একজন করে নায়ক হয়ে ওঠেন। কখনও কামিংস, কখনও পেত্রাতস কখনও আনোয়ার আলি…