পর্তুগাল–২ উরুগুয়ে–০
(ব্রুনো ফার্নান্ডেজ–২)
আর্জেন্তিনা এবং জার্মানি ছাড়া ফেভারিট দলগুলো অনায়াসেই বিশ্ব কাপের নক আউটে পৌছে গেছে। ফ্রান্স আর ব্রাজিলের পর সেই কৃতিত্ব দেখাল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সি আর সেভেন সোমবার নিজে গোল করতে পারেননি। তবে তাতে তাঁর দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্ডেজই জোড়া গোল করে দেশকে জিতিয়ে দিলেন। দুটি গোলই বিরতির পর। ৫৪ মিনিটে দূর থেকে নেওয়া ফার্নান্ডেজের একটি বাঁক খাওয়ানো শট হেড করতে উঠৈছিলেন। বল তাঁর মাথায় না লেগে সরাসরি গোলে ঢুকে যায়। গোল করেছেন এই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন রোনাল্ডো। কিন্তু পরে দেখা যায় রোনাল্ডোর মাথা বল স্পর্শ করতে পারেনি। ফার্নান্ডেজের শটটাই উরুগুয়ে গোলকিপার সের্জিও রোচেটকে হার মানিয়ে গোলে ঢুকে গেছে। আর ব্রুনোর দ্বিতীয় গোলটা সংযুক্ত সময়ে। বক্সের মধ্যে তাঁকে আটকাতে গিয়ে বল হাতে লাগিয়ে ফেলেন এক উরুগুয়ে ডিফেন্ডার। প্রথমে রেফারি বুঝতে না পারলেও পরে ভারের সাহায্যে পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ব্রুনো ফার্নান্ডেজ।
উরুগুয়ের অবস্থা ভাল হল না। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আটকে যাওয়ার পর এদিন আবার পর্তুগালের কাছে হার। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট তাদের। কোরিয়ারও তাই। কারণ তারা এদিন হেরে গেছে ঘানার কাছে। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে হারের পর কোরিয়াকে হারিয়ে ঘানার এখন তিন পয়েন্ট। এইচ গ্রুপের দ্বিতীয় দল বাছতে শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে হারলেও উরুগুয়ে কিন্তু খারাপ খেলেনি। দুর্দান্ত রোনাল্ডোকে তারা তেমনভাবে বল ধরতে দেয়নি। বরং ফেদেরিকো ভালভার্দে, এডিনসন কাভানি এবং রডরিগো বেন্টানকুরের ত্রিফলা আক্রমণে তারা বেশ কয়েকবার পর্তুগাল ডিফেন্সকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। দুর্ভাগ্য তাদের একটি আক্রমণ থেকে সামনে শুধু পর্তুগিজ গোলকিপার দিয়েগো কোস্তাকে সামনে পেয়ে যান রডরিগো। কিন্তু গোল করতে পারেননি। গোলের কোণ ছোট করে দিয়ে বেরিয়ে এসে কোস্তা তাঁর হাতে মারতে বাধ্য করেন রডরিগোকে। ৭২ মিনিটে নেমে লুই সুয়ারেজও গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ছয় গজের মধ্য থেকে বাইরে মেরে নষ্ট করেন।
ঘানার বিরুদ্ধে দুই গোল খাওয়ার পর পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস এদিন সেন্টার ব্যাক হিসেবে নামান প্রবীণ ডিফেন্ডার পেপেকে। রিয়াল মাদ্রিদের এই প্রাক্তন সেন্টার ব্যাক বেশ ভালই খেললেন। ৮২ মিনিটে রোনাল্ডো বসে যাওয়ার পর তাঁর হাতেই ওঠে ক্যাপ্টেনের আর্ম ব্যান্ড। তার মানে পেপেকে এখনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবং তিনি তাঁর প্রতিদানও দিলেন। তবে পর্তুগাল এদিন সহজে জিতলেও প্রশ্ন থেকে গেল রোনাল্ডোকে নিয়ে। নক আউট স্তরে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন। প্রথম দুটো ম্যাচে রোনাল্ডো যা খেললেন তা দিয়ে হবে না। তাঁকে আরও ভাল খেলতে হবে। সামনের দিকে জোয়াও ফেলিক্স কিংবা ব্রুনো ফার্নান্ডেজ যতই ভাল খেলুন না কেন রোনাল্ডোকে দরকার। বড় বেশি করে দরকার। না হলে গত চারটি বিশ্ব কাপের মতো এবারও বিশ্ব কাপটা অধরা থেকে যাবে তাঁর।