হাবরা: সালিশি সভা করে নাবালিকার চুল কেটে দেওয়ার বেনজির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায়। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ হাবরার সুকান্তপল্লী এলাকার ঘটনা। যেখানে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে নাবালিকার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা চার জনকে করেছে হাবড়া থানার পুলিশ।
১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকা দক্ষিণ হাবরা হাইস্কুলের যবন শ্রেণীর ছাত্রী। তার পরিবারের লোকেরা জানায়, সম্প্রতি সে তার দিদি সঙ্গে ঝগড়া করে জামা কাপড় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। জানা যাচ্ছে ওই নাবালিকা নাকি মাঝের মধ্যেই দিদির সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। এরপর সেদিন সন্ধে নাগাদ ফের ওই মেয়ের দাদু ঠাকুমা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। গত ১৯ তারিখে আবারও দুই বোনের মধ্যে অশান্তি হলে নবম শ্রেণীর ও ছাত্রী ফের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর যখন সে বাড়ি ফিরে আসে, তখন নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে দুই যুবক সহ একজন গৃহবধূ আটক করেন। ওই তিন জন মিলেই নাবালিকাকে মারধর করে এবং তার চুল কেটে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর। ওই তিনজনকে আটক করার পরে নাকি তাঁরা পাল্টা নাবালিকার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এবং দাবি করেন, ওই নাবালিকার বাবা-মা তাঁদের চুল কাটতে বলেছে তাই তারা কেটেছে।
আরও পড়ুন: Chaild Death: মা যখন খুনি
অন্যদিকে, ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তিনি এই পুরো ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাউন্সিলর আসার আগেই নাকি নিজেরা বিচার বসিয়ে শাস্তি দিয়েছে ওই নাবালিকাকে। ফলত ওই মেয়েটির সঙ্গে ঘটা পুরো ঘটনার যাঁরা দোষী তাঁদের সবার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। গতকাল বিকালে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে করেছে নির্যাতিতার পরিবার। তারপরেই রাতে হাবরা থানার পুলিশ অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ চারজনকে আটক করেছে।