পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তুঙ্গে উঠল মালদহ জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ এবং জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলামের বিরোধ ঘিরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
সামিউলের অভিযোগ, বিধায়ক ঠিকাদারদের নিয়ে ব্লক ও অঞ্চল কমিটি গঠন করেছেন। তিনি বলেন, ভাড়া বাড়িতে থেকে কয়েকজন ঠিকাদারকে নিয়ে দল চালাচ্ছেন বিধায়ক। দলে তিনি স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছেন। ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিধায়ক বলেন, আমরা দলটাকে কষ্ট করে তৈরি করেছি। আর উনি পরিযায়ী বিধায়ক হয়ে অন্যদের দিয়ে ফসল কাটিয়ে নিয়ে যাবেন, এটা হতে দেব না। জেলা সভাপতিকে সব জানিয়েছি। এই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামিউলের বিরুদ্ধে পাল্টা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নীহার। তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটে যাঁরা বিরোধীদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন, তাঁদের মুখে এ সব কথা শোভা পায় না। গত পঞ্চায়েত ভোটে আমি বিধায়ক ছিলাম না। তখন চাঁচলে আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দুটি পঞ্চায়েত পেয়েছিল তৃণমূল। আসলে এই নেতারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন। তাই আবোল তাবোল বকছেন। বিধায়কের জানা দরকার, এখনও অঞ্চল কমিটি গঠন হয়নি। এ সব কথা বলে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন জেলা পরিষদ সদস্য।
গত বিধানসভা ভোটে চাঁচল থেকে বিধায়ক হন নীহার। তার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে জেলা পরিষদ সদস্য সামিউলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে। তবে দুই নেতার এই আকচাআকচি নিয়ে জেলা তৃনমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় জেলায় জেলায় চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে নবান্ন
শাসকদলের এই অন্তর্কলহকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে এখন থেকেই তৃণমূলে কামড়াকামড়ি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতই তো আসল লুটের জায়গা। তাঁর দাবি, জেলার সব ব্লকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট।