দেগঙ্গা: চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে আবারও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল দেগঙ্গার এক যুবকের। শশুরবাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে বাইক ও লরিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে গুরুতর জখম হন দেগঙ্গার গাঙাটিয়ার সফিকুল ইসলাম নামে ৩৮ বছর বয়সী এক যুবকের। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। সেখানে অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাফেরা করেন।
পরে পরিবারের লোক অভিযোগ করেন, তাঁদের রোগীকে রাখার জন্য কোনও ট্রলি দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁদেরকে হাপাতাল সূত্রে জানানো হয়, এখন আরজি করের ঘটনা নিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে, তাই কোনও চিকিৎসা না পাওয়ার মতো একটা পরিস্থিতি মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু দু’ঘণ্টা ঘোরার পরে কোনও সূরাহা হয়নি। পরবর্তীতে পরিবারের লোকেরা সেই মুমূর্ষু রোগীকে কলকাতা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে বারাসতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় সফিকুল ইসলামের। পরিবারের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে তাঁদের ঘোরার ফলেই ছেলে মারা গিয়েছে। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হত, তাহলে হয়তো এভাবে তাঁদের ছেলেকে হারাতে হত না।
আরও পড়ুন: কেষ্টর মেয়ের জামিন হতেই খাওয়া হল মাংস-ভাত
পাশাপশি বাড়ির লোক প্রশ্ন তুলছেন, আর জি করের ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল দেশ, এই আন্দোলনের প্রভাবে সাধারণ মানুষদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। গরিব লোকেরা কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকে ঘুরে রোগীকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা সব রকম ট্রিটমেন্ট করেছি, চেষ্টা করেছি। বিশাল খরচের কথা বলা হচ্ছে, সেটা আগে থেকেই প্যাকেজের কথা বলা হয়েছিল পরিবারকে। তারা সই করেছিল। আমাদের কোনও গাফিলতি নেই।