বসিরহাট: সিপিএমের (CPM) ঘরওয়াপসি। তৃণমূল (TMC) থেকে ছেড়ে ১৫০ জনের যোগদান সিপিএমে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে (Basirhat) মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবনের যোগেশগঞ্জ বাজার এলাকায় সিপিএমের একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০১১ সালে পরিবর্তন হওয়ার পর ২০১২ সালে যোগেশগঞ্জের সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক মৃণালকান্তি গায়েন সহ কয়েকশো সমর্থক সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিল। তারাই বুধবার ফের সিপিএমে প্রত্যাবর্তন করলেন। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কলতান দাশগুপ্ত সহ সিপিএম নেতৃত্ব।
রাজ্য জুড়ে যে বিভিন্ন রকম দুর্নীতি, তার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভ আয়োজন করা হয়েছিল যোগেশগঞ্জে। সেখানে রাজ্য কমিটির সিপিএমের সদস্য কলতান দাশগুপ্ত মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, রাজ্যের চাকরি নেই, শিল্প নেই। যোগ্য প্রার্থীদের কাজ নেই। তারই প্রতিবাদে এই সভা। তিনি আরও বলেন, সব পেটে ভাত চাই, সব হাতে কাজ চাই।
আরও পড়ুন: Bhirbhum Incident | ফের বোমা বিস্ফোরণ বীরভূমে, জখম ২
মৃণালকান্তি বর্তমানে কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাথে আরও ৩০টি পরিবার তথা শতাধিক তৃণমূল কর্মী যোগদান করেন। ২০১২ সালে এরাই সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। দলত্যাগী মৃণালকান্তি বলেন, এখানে কোনও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। ইচ্ছামতো সংগঠন চলে। জব কার্ড তৃণমূলের মানুষের কাছে নেই, সব কার্ড পঞ্চায়েতের সুপারভাইজারদের কাছে। এই দুর্নীতির জন্য দলত্যাগ করলাম।
হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার এসটি, এসসি, ওবিসি ছেলের সভাপতি সুরজিৎ বর্মন জানান, মৃণাল সিপিএমের সদস্য ছিলেন। তারপরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে দলে এসেছিলেন। তাঁর দুর্নীতি করার অভ্যাস আছে কিন্তু বর্তমান শাসকদল সেটাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য ফের নিজের জায়গায় ফিরে গিয়েছেন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন বলে দাব করেন তিনি।