নয়াদিল্লি: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঘরওয়াপসি অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। তৃণমূলে ষোগ দেওয়ার দুই বছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ অর্জুনের। ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ম শিবিরে ফেরার কথা বৃহস্পতিবারেই ঘোষণা করেছিলেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সেইমতো শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে ফিরলেন ফিরলেন ব্যারাকপুরের বাহুবলি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনের সঙ্গেই এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ান দিব্যেন্দু-অর্জুন। তাঁদেরবিজেপিতে স্বাগত জানান দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অর্জুন সিং প্রসঙ্গে অমিত মালব্য বলেন, মাঝে কিছু কারণে পার্টির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতে পারেননি। এখন আবার পার্টির মূল ধারায় যুক্ত হতে চান।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় প্রচারে সিপিএম প্রার্থীরা
এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে অর্জুন বলেন, দলের কর্মী সমর্থকদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। সারা বাংলায় সীমান্ত এলাকাগুলিতে একটা করে সন্দেশখালি রয়েছে। দিব্যেন্দু বলেন, আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা বলার ভাষা নেই। দিনের পর দিন মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাধ্য হয়ে মা-বোনেরা পথে নেমেছেন। মহিলাদের শুধু ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে সম্মান জানানো যায় না। বাংলার নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা। সন্দেশখালি এখন গোটা দেশের ইস্যু। অত্যাচারিতদের কাছে যেভাবে সবার আগে বিজেপি পৌঁছে গেছে, তা আর কোনও দল পারেনি।
অর্জুন-দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, যারা বিজেপিতে ছিল তাদের আবার কীসের যোগদান। সবই লোক দেখানো।
অন্য খবর দেখুন