কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে আগামিকাল শনিবারই। তার আগেই অবশ্য সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। কোনও কোনও দল প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ১৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। ওইদিন রাত থেকেই পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছে সিপিএম। শুক্রবার উত্তর থেকে দক্ষিণ দিনভর প্রচারের ময়দান কাঁপালেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya), তমলুকের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (Tamluk Left Candidate Sayan Banerjee), জলপাইগুড়ির দেবরাজ বর্মন (Jalpaiguri Left Candidate Debraj Burman)। বামেদের প্রার্থী তালিকায় ১৬ জনের মধ্যেই রয়েছে ১৪ নতুন মুখ।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত প্রচার শুরু করে দেন তিনি। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের বামনঘাটায় আসেন তিনি। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। এই কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় আইএসএফ সিপিএম একসঙ্গে ভোট প্রচারে নামলেও লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের পাশে আইএসএফের কোনও নেতাকে এদিন দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: শনিবারই লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা, জানাল কমিশনের
এদিন সকাল থেকে তমলুকে প্রচার চালান সিপিএম প্রার্থী তরুণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালান সায়ন। ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী দলের তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ওই আসনে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সরকারিভাবে বিজেপি এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও অভিজিতের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে তমলুকে। এ নিয়ে সিপিএম প্রার্থী বলেন, প্রার্থী যেই হোন না কেন আমাদের লড়াই চলবে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেওয়াল লিখনে নেমে পড়েন হাওড়ার সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চ্যাটার্জী। প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমার লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূল এই দুই রাজনৈতিক দলের নীতির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে প্রচারে পিছিয়ে নেই উত্তরবঙ্গও। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে যুব নেতা দেবরাজ বর্মনকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। দেবরাজ বর্মনের সমর্থনে শুক্রবার সকালে ধূপগুড়ির সিপিএম দলীয় কার্যালয়ে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়। নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি দেওয়াল লিখনে রয়েছে কাজ এবং শিক্ষার অধিকারের স্লোগান। দেওয়ার লিখনের পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন দেবরাজ। তাদের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন দেবরাজ ।
অন্য খবর দেখুন