কলকাতা: গলফ গ্রিন থানার বিক্রমগড়ের একটি বাড়ি থেকে দোলের দিন সকালে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘর থেকেই যুবকের সঙ্গিনী প্রীতি সর্দার নামে বছর একত্রিশের এক মহিলাকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ প্রীতিকে প্রথমে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রীতির সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বস্তুত গোটা শরীরই ক্ষতবিক্ষত ছিল বলে পুলিশ জানায়। ওই অবস্থাতেই পুলিশ প্রীতির বয়ান রেকর্ড করে। নিহত যুবকের নাম লিটন দাস (২৭)। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোদালিয়ার বাসিন্দা, প্রীতির বাড়ি চম্পাহাটিতে। তিনি বিবাহিত ছিলেন। ১৪ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁর।
পুলিশ প্রীতির বয়ানের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ১৪ বছর আগে সোমেন সর্দার নামে একজনের সঙ্গে প্রীতির বিয়ে হয়। বছর এগারো আগে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বছর তিনেক আগে কোনও এক সূত্রে প্রীতির সঙ্গে লিটনের আলাপ হয়। তারপর থেকে তাঁরা একত্রে বাস করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly : বর্ণহীন শান্তিনিকেতনে বর্ণময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
পুলিশ জানায়, বছর দুয়েক আগে লিটনরা বিক্রমগড় এলাকার এই বাড়ি ভাড়া নেন। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা পাড়ায় খুব একটা মিশতেন না। ছেলেকেও কোনও দিন দেখা যায়নি। সোমবার রাতে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এদিন সকালে মদ্যপ অবস্থায় লিটন প্রীতিকে মারধর করেন। তাঁর সারা শরীরে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রীতি নেতিয়ে পড়েন। এরপর লিটন ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন। পাড়ার লোকজন পুলিশে খবর দেন। সকাল সাতটা নাগাদ পুলিশ দরজা ভেঙে লিটনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। প্রীতি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় প্রায় অচেতন হয়ে শুয়ে ছিলেন। তাঁর মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ আসছিল। পুলিশ দুজনকেই বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা লিটনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ প্রীতির বয়ান নিতে পেরেছে। তার ভিত্তিতেই তারা তদন্ত শুরু করেছে।