ইডি, সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করছে বলে পাল্টা প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হল বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিবিরের দ্বিতীয় দিনে শিক্ষা দুর্নীতি এবং গরু-কয়লা পাচার নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষকরা বলেন, তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। জেলায় জেলায় তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে হবে। শিবিরে বলা হয়েছে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামে গ্রামে মানুষ এখন তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। তবে মানুষের সেই ক্ষোভকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি বন্ধ করে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।
সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ শিবিরে কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যের সর্বস্তরের কর্মীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কেউ যেন কোনও দুর্নীতিতে না জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করবে। সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও আপস না করেন। সিএএ নিয়ে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে। ইডি-সিবিআই নিয়ে অনভিপ্রেত মন্তব্য করতেও নিষেধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আলটপকা মন্তব্যেও লাগাম পরানো হয়েছে।
আলটপকা কথা বলার ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। একই দোষে দুষ্ট বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির অন্দরের খবর, এই দুজনকেও সতর্ক করা হয়েছে। পরে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সিএএ বিজেপির আইডেন্টিটি। মুখ্যমন্ত্রীর চাওয়া না চাওয়ায় কিছু যায় আসে না। মানুষ চাইলে সিএএ হবে।