কলকাতা: ৩০ মার্চ কলকাতায় মহাসমাবেশের ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ওইদিন সরকারি কর্মচারীরা গণছুটির (Mass Leave) জন্য আবেদন জানাবে সরকারের কাছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন মঞ্চের আহ্বায়ক (Convenor) ভাস্কর ঘোষ (Bhaskar Ghosh)। তিনি জানান, মহাসমাবেশ হবে শহীদ মিনার ময়দানে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দুটি মিছিল আসবে শহীদ মিনার ময়দানে। সব দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ভাস্কর জানান, ডিএর দাবিতে আগামিদিনে তাঁরা আরও বৃহত্তর (Larger Movement) আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতির (President) কাছে ই মেলের মাধ্যমে গণডেপুটেশন (Mass Deputation) দেওয়া হবে। ২৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গণডেপুটেশন দেওয়া হবে মেলের মাধ্যমে। ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনা (Dharna) হবে।
মঞ্চের নেতারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য হস্তক্ষেপ করার দাবি জানানো হচ্ছে। তাতেও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে, আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে। আর এক নেতা চন্দন চক্রবর্তী বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আমরাই ভোট করাতে যাই। কোথাও বেচাল দেখলে রিপোর্ট কার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের রোপা অনুযায়ী বকেয়া ডিএ, শূন্য পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমবেতন প্রভৃতি দাবিতে শহীদ মিনার ময়দানে সরকারি কর্মীদের অনশন মঙ্গলবার ৪০ দিনে পা দিল। মঞ্চ জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন এবং অনশন চলবে।
এদিনই সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ১১ এপ্রিল। এই নিয়ে পাঁচবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আন্দোলনকারীরা জানান, আদালতের উপর তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আদালত থেকে সুবিচার মিলবে বলে তাঁদের আশা। গত ১০ মার্চ যৌথ মঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। মঞ্চের দাবি, ধর্মঘট হয়েছে সর্বাত্মক। রাজ্য সরকার ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি আগেই দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করেছে। মঞ্চের হুঁশিয়ারি, সরকার ব্যবস্থা নিলেও তাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কয়েক দিন আগেই বিধানসভায় জানিয়ে দিয়েছেন, ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারের হাতে অত টাকা নেই। তিনি বলেন, আমার মুণ্ডু কেটে নিলেও ডিএ দিতে পারব না। ডিএ দিতে হলে পেনশন বন্ধ করে দিতে হবে। তাতে কর্মচারীরা রাজি হবেন তো? রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কাঠামো আলাদা। তারও আগে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আন্দোলনকারীরা দিল্লিতে গিয়ে চাকরি করুন।