বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষের রাইস মিলে সিবিআইয়ের হানা। অনুব্রতর জামাইবাবুর বাড়ি শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীতে। রাইস মিল কেনার টাকা উৎস কোথা থেকে, তা জানতে চাইলেই মেজাজ হারালেন কমলাকান্ত ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমার বলার কিছু নেই। সোমবার বোলপুরের বাঁধগোড়া এলাকার শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবুর নামে। তদন্তের স্বার্থে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে জানা যায়। এই রাইস মিলে অনুব্রতর টাকা খাটাত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ফুড কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরাও। কয়েকদিন আগেই অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই।
উল্লেখ্য, গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের চারদিনের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আগেই বোলপুরের ত্রিশূলাপট্টীতে অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে কালিকাপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার সাফাই কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেও যায় তদন্তকারী অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবু শিবানী ঘোষ ও কমলাকান্ত ঘোষের নামে রয়েছে। তাই এই রাইস মিলের লেনদেনের কাগজপত্র-সহ লগ্নির টাকার উৎস খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: Narkeldanga: অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও বিজেপির
সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ভোলে ব্যোম ও শিবশম্ভু রাইস মিলের দায়িত্বে ছিলেন কেষ্টর ঘনিষ্ঠ রাজীব ঘোষ। এই রাজীব ঘোষ কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্ত নেমে কার্যত হতভাগ। কারণ, কেষ্টর জামাইবাবু একজন অবসরপ্রাপ্ত বিশ্বভারতীর কর্মী। তাঁর আয়ের সঙ্গে এত বড় রাইস মিল কীভাবে কিনল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত ছিল। গরু পাচারের সেই কালো টাকা তাঁর আত্মীয়র নামে বেনামে রাইস মিল থেকে একাধিক সম্পত্তি কিনে রেখেছে।