বোলপুর: এবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা। বোলপুরের কাশিপুর মোড় এলাকায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা দেয়। সিবিআইয়ের তিন জনের একটি দল এদিন সায়গলের ফ্ল্যাটে যান। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে শুধু সায়গলের স্ত্রী রয়েছেন ফ্ল্যাটে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর আগে থেকেই সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সায়গল। সূত্রের খবর, বোলপুরে সাতটি ব্যাঙ্কে মোট ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সায়গলের নামে। সমস্ত তথ্য ক্ষতিয়ে দেখে তা সংগ্রহের জন্যই সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর ফ্ল্যাটে যান।
উল্লেখ্য, গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের চারদিনের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আগেই বোলপুরের ত্রিশূলাপট্টীতে অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে কালিকাপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার সাফাই কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেও যায় তদন্তকারী অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবু শিবানী ঘোষ ও কমলাকান্ত ঘোষের নামে রয়েছে। তাই এই রাইস মিলের লেনদেনের কাগজপত্র-সহ লগ্নির টাকার উৎস খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কেষ্টর জামাইবাবুর রাইস মিলে সিবিআই হানা
সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ভোলে ব্যোম ও শিবশম্ভু রাইস মিলের দায়িত্বে ছিলেন কেষ্টর ঘনিষ্ঠ রাজীব ঘোষ। এই রাজীব ঘোষ কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্ত নেমে কার্যত হতভাগ। কারণ, কেষ্টর জামাইবাবু একজন অবসরপ্রাপ্ত বিশ্বভারতীর কর্মী। তাঁর আয়ের সঙ্গে এত বড় রাইস মিল কীভাবে কিনল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত ছিল। গরু পাচারের সেই কালো টাকা তাঁর আত্মীয়র নামে বেনামে রাইস মিল থেকে একাধিক সম্পত্তি কিনে রেখেছে।