জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেও ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার চা-সুন্দরী প্রকল্পের (Chaa Sundari Scheme) বাড়িগুলি। বিদ্যুৎ ও জলের অভাবে বাড়িগুলি ব্যবহার করতে পারছেন না চা শ্রমিকরা (Tea Worker)। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সুভাষিণী চা বাগান ময়দান থেকে চা শ্রমিকদের জন্য চা-সুন্দরী প্রকল্পের বাড়িগুলি উদ্বোধন করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চা শ্রমিকদের হাতে ওইসমস্ত বাড়ির চাবিও তুলে দেন তিনি।
মূলত ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের চা শ্রমিকদের অধিকাংশেরই বাগান থেকে কোয়ার্টার দেওয়া হয় না। বা তা পেলেও ঘরগুলি ভগ্নদশায় পরে রয়েছে। চা শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে বাগানে কাজ করে কিন্তু বাসস্থানের খুব খারাপ অবস্থা। এহেন অবস্থার কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকার চা-সুন্দরী প্রকল্পর ঘোষণা করে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের আবাসন দফতর চা বাগান এলাকাতেই চা শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। জলপাইগুড়ি জেলার মানাবাড়িতে চলতি বছরের ১৯শে জানুয়ারি চা-সুন্দরী প্রকল্পের ৪৪টি বাড়ি উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাড়িগুলিতে বসবাসের জন্য জলের ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে বিদ্যুতের ওয়ারিং সমস্ত কিছুই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ এবং জলের সংযোগ না দেওয়ায় বাড়িগুলি ব্যবহার করতে পারছেন না চা শ্রমিকরা।
তবে সরকারের এই প্রকল্পের জন্য চা শ্রমিকরা (Tea Worker)প্রত্যেকেই খুশি। যারা বছরের পর বছর ধরে ভাঙা বাড়িতে দিন কাটাতো, তারা প্রত্যেকেই ঝা চকচকে পাকা বাড়ি পেয়ে খুশি। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে তারা প্রত্যেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মানাবাড়ির এই ৪৪টি চা শ্রমিক এবং তার পরিবার অপেক্ষা করে আছেন বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগের জন্য। আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসছেন। তাদের আশা, এর মধ্যেই চা-সুন্দরী প্রকল্পের বাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ হয়ে যাবে এবং বাড়ি ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে। তারা এই নতুন পাকা বাড়িগুলি ব্যবহার করতে পারবে।