কলকাতা: রবিবারই বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় অশনি-তে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় হালকা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছনোর পর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। সমুদ্রেই গতিপথ বদলানোয় ক্রমশ শক্তিক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। স্থলভাগে ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখনও না থাকলেও কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়?
- মাঠের পাকা ধান কেটে ঝেড়ে গুদামজাত করুন
- সবজি, তৈলবীজ, বিশেষত তিল, চীনাবাদাম বা ডলশষ্যের জমিতে জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন।
- আখ গাছকে দু-তিন রকম উচ্চতায় সারির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত আখ পাতা ব্যবহার করে প্যাঁচ দিয়ে বেঁধে দেওয়া যেতে পারে এবং দুপাশে বাঁশ দিয়ে টেনে বেঁধে রাখা যেতে পারে।
- সবজি ও অন্যান্য ফল ক্ষেত বিশেষত পেঁপে, কলা জাতীয় ফসলগুলি যাতে ঝড়ে সহজে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার ব্যবস্থা করুন।
- সবজির মাচা ও পানের বরজ কে শক্ত করে বাঁধনের ব্যবস্থা করুন।
- আবহাওয়া দফতরের পরবর্তী বুলেটিনের দিকে নজর রেখে ফসলের ক্ষেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
অশনির দাপটে উত্তাল হবে সমুদ্র৷ তাই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারেও মাইকিং করে চলছে সতর্কীকরণ।
আরও পড়ুন: Khalistan flags: হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার গেটে খলিস্তানি পতাকা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আবারও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনের মানুষরা। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে নদীপারের নড়বড়ে বাঁধ। ঝড় হলেই সেই বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যায় গ্রামে। প্রতিবছর মে মাসের এই ছবিতে অভ্যস্ত সুন্দরবনের মানুষ। এখনও অবধি ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা না থাকলেও আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সুন্দরবনবাসীর।