বর্ধমান: ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করা তাঁর রোজনামচা। স্বাস্থ্য সচেতন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) প্রাতঃভ্রমণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন। যা থেকে অনেক বিতর্কিত বক্তব্যও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এ তাঁর পুরনো অভ্যাস। লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) প্রচারের ময়দানে জেলায় ঘুরেও তাঁর দৈনন্দিন রুটিনে কোনও বদল হয়নি। মেদিনীপুরে নিজের জেতা আসনে এবার তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। চেনা পিচ না পেয়ে অবশ্য দমে যাননি তিনি। একই ভঙ্গিতে গরমাগরম বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছেন। যাচ্ছেনও। একইভাবে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে তাঁর কথায়। এবারে বর্ধমানে শনিবার সকালে একটি মাঠে খেলতে নেমে পড়লেন তিনি। সেখানে ছক্কাও হাঁকালেন। তারপর সাংবাদিকের বললেন, সব পিচেই খেলতে পারি। যেন অনেক জবাব দিলেন। যাঁরা বলছিলেন দিলীপ ঘোষকে এবার শক্ত পিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জেতা আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বোধ হয় মুষড়ে পড়বেন। অন্তত প্রার্থী ঘোষণার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মেদিনীপুরে টিকিট পাওয়া নিয়ে আশাবাদী ছিলেন দিলীপবাবু। কিন্তু খানিকটা রক্ষণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেও যে দমবার পাত্র নন, এদিন তা বুঝিয়ে দিলেন এ রাজ্যে বিজেপির সফলতম প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর আমলে রাজ্যে লোকসভায় সব থেকে বেশি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। পরে সভাপতিত্ব গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পদ থেকে বাদ গিয়েছে তাঁর নাম। তারপরেও অকৃতদার দিলীপবাবু কথায় কথায় স্পষ্ট বলেন, কিছু নিয়ে আসিনি। কিছু নিয়ে যাব না। দল যে দায়িত্ব দেবে পালন করব। না দিলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কাজে ফিরে যাব।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বর্ধমানের ব্লিজ মাঠে আসেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। মাঠে এসে ব্যাট হাতে পিচে নেমে হাঁকালেন চার, ছক্কা। তা দেখে হাততালিতে ভরিয়ে দেন স্থানীয়রা। যেভাবে তাঁর গরমাগরম বক্তৃতায় হাততালি পড়ে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দিলেন, যে কোনও পিচেই খেলতে পারি। উল্লেখ্য, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী এক প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ।
আরও পড়ুন: জেলে শাহজাহান শেখকে জেরা করতে গেল ইডি
তারপরেই ফুরফুরে মেজাজে সেখানকার এক রেলকর্মী মুক্ত মেটের গান শুনলেন। তাঁর প্রশংসাও করলেন। হাঁটা, খেলা, গান শোনা শেষে এবার সেই চায়ে পে চর্চা। সেখানেও তিনি রাফ অ্যান্ড টাফ। সেভাবেই কথা বললেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচন কমিশনের শোকজের জবাব দিয়েছেন তাঁর মতো করেই। দলীয় নেতৃত্বের বিষয়ে এদিন খুব বেশি কিছু বলেননি। তবে অভিনেতা রুদ্রনীলের মানভঙ্গ করে বিজেপির প্রার্থীর সমর্থনে সামিল হওয়া নিয়ে খানিকটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, সবাই দলের হয়ে কাজ করবেন। দু একটা সমস্যা হতেই পারে। ওসব মিটে যায়। কিন্তু অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বরাহনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দিলীপবাবু কোনও মুখ খুলতে চাননি। শুধু বলেন, ওটা ওদের ব্যাপার। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেষ্টনী নিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে চললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
আরও খবর দেখুন