কলকাতা: সুকান্ত মজুমদারেরা (Sukanta Majumdar) গঙ্গা আরতি (Ganga Arati) নিয়ে আসলে গিমিকের রাজনীতি করছেন। ওরা আসলে একদিন গঙ্গারতি করে মিডিয়ায় মুখ দেখাতে চায়। রাজ্য বিজেপির গঙ্গা আরতির প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মঙ্গলবার বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি নিয়ে ফিরহাদ আরও বলেন, এভাবে গঙ্গা আরতি করা যায় না। কলকাতা পুরসভা গঙ্গার পাড়ে গঙ্গা আরতি করার ব্যবস্থা করছে। বিজেপি (BJP) এভাবেই গিমিকের রাজনীতি করতে করতে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
এদিন গঙ্গা আরতি নিয়ে দিনভর টানাপোড়েনের পর রাতে বাজে কদমতলা ঘাটে গঙ্গারতি (Gangarati) করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন সকালে মঞ্চ (Stage) বাঁধার কাজ শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মীরা। অনুমতি না থাকায় পুলিশ (Police) তা খুলতে শুরু করে। সেই ঘটনায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) সদলবলে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। সেখানে গঙ্গারতি করার দাবিতে জড়ো হওয়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পুলিশ তাঁদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বললেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ায় তাঁরা। সেসময় সজল ঘোষকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়।
একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ডবল ইঞ্জিন সরকার ও বুলডোজার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন। তাঁর উপর উনি নতুন দলে গিয়েছেন। দিল্লির নেতাদের কাছে এ ধরনের কথা বলে আসলে আস্থাভাজন হয়ে পয়েন্ট বাড়াতে চাইছেন। উনিও জানেন এই রাজ্যের সরকার কোনও বুলডোজার চালানোয় বিশ্বাসী নয়। অন্যদিকে ত্রিপুরাতে এবার পালাবদল হতে চলেছে বলেও জানান কলকাতার মেয়র। ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা এবার এদেশ থেকেই ক্ষমতারচ্যুত হয়ে চলে যাবে।